পাতা:সরোজ বালা.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরোজু-বালা । >°。 যখন অভয় বাবু প্রীতির মাতাকে উইল প্রদান করেন, তিনি সেখানি লৌহসিন্দুকে রাখিয়া দেন আমি তাহ দেখিয়াছিলাম। দাদার মৃত্যুর পর যখন বাটীর সকলে অত্যন্ত শোকাম্বিত ও অস্তমনস্ক ছিল, তখন সেই সুযোগে প্রকৃত উইলকে হস্তগত করিয়াছিলাম। পরে এক দিন সদানদের সহিত সাক্ষাৎ হওয়াতে, উচ্চার দ্বারা এক জাল কাৰ্য্য সম্প্রাদন করিলাম। সদানন্দের হরিশ নামে এক জন সঙ্গীও ছিল । । হরিশের নাম হওয়াতে তাহাকেও বিচারালয়ে জানা হইল। বিচারে নলিনী বাবু ও হরিশের যাবজ্জীবন কারাদও হইল । সদাননা সমস্ত সংবাদ দিয়াছিল বলিয়, তাহার সামান্ত অর্থাও হইল মাত্র। অভয় বাবু তাহাঁ নিজে সহ্য করিলেন । - সীতানাথ এ যাত্র পরিত্রাণ পাইয়। অতীব আনন্দ সহকারে পুনরায় অভয় বাবুর বাটতে আসিলেন। আসিয়াই দেখিলেন• যে, তাহার পুত্রকে ক্ৰোড়ে লইয়া মনোরমা ও সুশী; তাছাদেরই জষ্ঠ অপেক্ষা করিতেছেন । সীতানাথ মনোরমাকে দেখিয়া প্রথমে আশ্চর্য্যাম্বিত হইল । পরে সুশীলার মুখে সমস্ত সংবাদ অবগত হইয়া আহ্বলাদিত হইল । সুরেশ বাবু অমিয়াকে লইয়া মুখে কালযাপন করিতে লাগিলেন। শচী বাবুর আর মাতৃমুখ দেখিতে ইচ্ছা হইল না। লোকপরম্পরায় তিনি শুনিয়াছিলেন যে, তাহার মাতুলগণই তাহাদের বসত বাট ও অন্যান্য সম্পত্তি হস্তগত করিয়াছেন । এখন তাহার মাতাকে একজন দরিদ্রের ন্যায় পিত্রালয়ে বাস করিতে হয়। ইন্দিরা অল্পদিন পরেই বিধবা হইয়াছিল। পরে