পাতা:সর্ব্ববেদান্ত-সিদ্ধান্ত-সার-সংগ্রহঃ.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Μο/ο —বেদবেদান্ত ; তর্ক তাহার ইতিকৰ্ত্তব্যতাস্থানীয়। অবলম্বনীয় প্রমাণের অভাব হইলে, তর্ক কোথায় আশ্রয় লাভ করিবে ? এইজন্যই তিনি অপৌরুষেয় বেদের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন এবং সেই বেদের যথার্থ তাৎপৰ্য্য নির্ণ করিয়া, মানবহৃদয়ের অজ্ঞান দূর করিয়া দিয়াছেন। ভগবান শঙ্করাচার্ঘ্য যেমন বুদ্ধিমান ব্যক্তিগণের জন্য ভাষ্যাদি গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন, সেইরূপ স্বল্পী ব্যক্তি যাহাতে অল্পপ্রয়াসে সমগ্র বেদান্তের অভিপ্রায় বুঝিতে পারে, তজ্জন্ত তিনি সরলভাবে অনেক গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন, তন্মধ্যে এই গ্রন্থখানি বিশেষ রূপে উল্লেখযোগ্য। এই গ্রন্থখানি শঙ্কর-কৃত। এই “গৰ্ব্ববেদান্তসিদ্ধান্তসারসংগ্রহ” নামক গ্রন্থখনি প্রশঙ্করাচাৰ্য্যকৃত গ্রন্থ সমূহের মধ্যে অন্যতম উপাদেয় গ্রন্থ। এই গ্রন্থে ভগবৎপাদ বেদান্তের প্রায় যাবতীয় সিদ্ধান্ত সংক্ষিপ্ত অথচ সরলভাবে বিবৃত করিয়াছেন। জিজ্ঞাম সরলবিশ্বাসী মানব কেবল এই একখানি গ্রন্থের সাহায্যে বেদান্তের অনেক বিষয় অবগত হইতে সমর্থ হইবেন। ইহাতে বিষয়গুলি অতি পরিপাটীরূপে যথাক্রমে উপন্যস্ত হইয়াছে। মঙ্গলাচরণের পর সাধন-চতুষ্টয়ের বিষয় উল্লেখিত হইয়াছে কামের স্বরূপ বর্ণন পূর্বক যমের সহিত তাহার তুলনা করিয়া, যমের অপেক্ষা কামের ভীষণতা প্রদর্শিত হইয়াছে। অনন্তর সঙ্কল্পত্যাগই যে কামবিজয়ের একমাত্র উপায়, তাহ বিশেষরূপে নিরূপিত হইয়াছে। লোকে ধনের উপর অত্যন্ত অনুরক্ত হইয় তাহাকেই সারভূত বস্তু বিবেচনা করে ; এই গ্রন্থে ভগবৎপাদ সেই ধনে বৈরাগ্যোৎপাদনের জন্য তাহার দোষ উদঘাটিত করিয়াছেন। তন্ত্রত্য একটি শ্লোক এখানে উদ্ভূত হইল— রাজো ভয়ং চৌরভয়ং প্রমাদা ভয়ং তথা জ্ঞাতিভয়ঞ্চ বস্তুতঃ। ধনং ভয়গ্রস্তমনৰ্থমূলং যতঃ সতীং তন্ন মুখায় কল্পতে ॥ তাহার পর বৈরাগ্যের ফল বর্ণন পূর্বক শম দম প্রভৃতির স্বরূপ বর্ণন করিয়াছেন, সাধন চতুষ্টয়ের অন্তর্গত উপয়তি-শঙ্কবাচ্য সন্ন্যাস তাহার অন্ততম ; ইহাতে সন্ন্যাসের স্বরূপ উত্তমরূপে প্রতিপাদিত হইয়াছে এই সমস্ত সাধন নির্ণয় করিয়া বস্তুতঃ ব্ৰহ্ম ব্যতীত সমস্ত পদার্থ মিথ্যা,—রজুতে সৰ্পের ন্তায় অধ্যস্ত,—