পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহস্ৰাৱতলী বলে, “না, বলতে আর দোষ কি ? সত্যপ্রিয় কিনে নিচ্ছে তো ঘর-বাড়ী-ওকে আমি বেচব না, লাখ টাকা দিলেও নয়।” ‘সত্যপ্ৰিয়বাবু তো কিনছে না ? একটা কোম্পানী থেকে কিনছে।” “ওটা সত্যপ্ৰিয়ের কোম্পানী । লোকটা আমার ঘর ভেঙ্গেছে, আমার বদনাম রটিয়েছে, ওকে আমি বাড়ী-ঘর, বেচব ? সবাই কত ভালবাসত আমায়, এখন একজন আসে দেখিস আমার কাছে ? কত করেছি ওদের জন্যে আমি, আজ ওরা আমায় বলছে সত্যপ্ৰিয়ের লোক, ত্যাপ্রিয়ের টাকা খেয়ে ওদের বন্ধু সেজে ওদের সর্বনাশ করেছে ? এভাবে কোন বিষয়ে নালিশ করা, অভিমানে এভাবে বিচলিত হওয়া যশোদার স্বভাব নয়। বন্ধুরূপী শত্রু বলিয়া কুলি-মজুরেরা ত্যাগ করিয়াছে বলিয়া মনটা কি যশোদার এত নরম হইয়া গিয়াছে ? কুমুদিনী একটু ভাধিয়া বলে, “তা এক দিক দিয়ে তো ভালই হয়েছে ভাই চাদের-মা সহ ? কতকগুলো কুলি-মজুরদের পাল্লায় পড়ে যন্ত্রণা পাচ্ছিলোঁ, বেঁচে গেছ । এখন অন্য ভাড়াটে রাখো বাড়ীতে,- না না,ভাড়াটে রাখবে কি ক’রে, বাড়ী তো তুমি বেচে দিচ্ছে।' বলিয়া কুমুদিনী একগাল হাসি1। কিন্তু যশোদার জীবন সে অতিষ্ঠ করিয়া তুলিল। যখন তখন যশোদার কাছে ছুটিয়া আসে, মত বদলানোর জন্য ঝগড়া করে, অভিশাপ দেয়। আর মিনতি করে, মাঝে মাঝে ধনঞ্জয়কে পৰ্য্যন্ত মধ্যস্থ। Ni | ধনঞ্জয় দ্বিধাভরে বলে, “আমি তো বলছি প্ৰথম থেকে কিন্তু-” যশোদা বলে, “কি মুস্কিল, তোমরা বেচ না তোমাদের ঘর-বাড়ী। SR NSD