পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনহৱতর্কনী মেয়েকে সজোরে বুকে চাপিয়া ধরিয়া ? তীব্ৰ বেদনার সম্ভাবনায় বিরাট দোতের প্রত্যেকটি অণু ভয়াৰ্ত্ত ঔৎসুক্যে সজাগ হইয় ওঠে, চাদকে প্রসব করার সময় যেমন হইয়াছিল । আলিঙ্গনের চাপে দিম আটকাইয়া সুব্রতার প্রাণ বাহির হইয়া যাওয়ার উপক্রম হয় । জোর তো সোজা নয়। যশোদার দু'টি বাহুতে। সুব্রতার 'আস্ফুট আৰ্ত্তনাদে সচেতন হইয়া সে তাকে ছাড়িয়া দেয়। ধাপ করিয়া মেঝেতে বসিয়া জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে নিতে ক্ষীণস্বরে সুব্ৰত! ধলে, “ আরেকটু হলেই শেষ করে। দিয়েছিল দিদি ।” রাত্রে ধনঞ্জয়াকে খাইতে দিয়া সামনে বসিয়া থাকিতে থাকিতে যশোদার মনে হয়, আরেকজন মানুষকে খবরটা শুনাইতে না পারিলে বুকট তার ফাটিয়া যাইবে । ‘জানে!, সুবুর ছেলেপিলে হবে।” বাড়ীতে ভাড়াটে আসিবার পর ধনঞ্জয় কেমন মুষড়াইয়া গিয়াছে। ক’দিন চুপচাপ শুধু সকলকে দেখিয়া গিয়াছে, মুখে তার একটি কথা। শোনা যায় নাই । যশোদার মুখে সুব্রতার সন্তান-সম্ভাবনার খবরটা শুনিয়া এবিষয়ে সে কিছুই বলে না, অভিমানী বালকের মত নিজের নালিশটা জানাইয়া বসে । “রাজেনকে তুমি অত খাতির কর কেন চাদের-মা ?” সুব্রতার নূতন খাপছাড়া অবস্থার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা দেখিয়া যশোদা আশ্চৰ্য্য হইয়া গেল। কোথায় সে ছিল, কতদূৱ । DDD BBBBD DBBSL S DBB BDDDS SBD S SDi 3C