পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उन्डङ्इज्डठठौ “দু’চার দিনের মধ্যে চলে যাবে ভাবছিলে ? তা বেশ । একটা বাড়ী দেখে নাও, কলকাতায় বার্ডীর অভাব নেই। কিন্তু, এক একজনের জন্য একটা বাড়ী না নিয়ে মেসে হোটেলে থাকলেই সুবিধে হ’ত না ?” তখন যামিনী স্পষ্ট করিয়াই জানাইয়া দিল যে এক বাড়ী ভাড়া করিয়া থাকিবার কথা সে ভাবিতেছে না, সকলকে সঙ্গে নিয়া যাওয়াই ਲ | সত্যপ্ৰিয় বলিল, “আমাকে তার ব্যবস্থা করে দিতে হবে, এই কথা বলছি তো ? মাসে মাসে বাড়ী ভাড়াটাও দিতে। তবে নিশ্চয় ?” “আমার মাইনেটা কিছু বাড়িয়ে দিলে—” “কিসের মাইনে ? একজনকে বসিয়ে বসিয়ে মাসে দু’শো টাকা হাত খরচ দিলে কি আপিস চলে বাপু ? কাজ কৰ্ম্ম শিখলে হয়তো একদিন মাইনে হবে তোমার, এখন আমার পকেট থেকে যে হাত খরচার টাকাটা দিচ্ছি, সেটা আর বাডাতে পারব না । কমিয়ে দিতে হবে কিনা কে জানে,-বড় টাকার টানাটানি চলছে আমার ।” খুব সকালে যামিনী আসিয়া পৌছিয়াছিল, ঝগড়ার পর না খাইয়াই আবার বাডী ছাড়িয়া চলিয়া গেল । বিকালে অজিতের সঙ্গে সে গোল যশোদার বাড়ী । সত্যপ্রিয় চার টাকা পথ খরচ দিয়া জামাইকে দেশে পাঠাইয়া দিয়াছে যশোদা এ খবরটা জানিত । অজিত খবর দিয়া ছিল । অজিত মহীতোবের বন্ধু, বুদ্ধিটাও মঙ্গীতোষের তেমন ধারাল নয় যে ঘরের কোন কোন খবর যে বন্ধুর কাছেও চাপিয়া যাওয়া উচিত এটুকু তার খেয়াল থাকিবে।