s . সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী। মুচ্যতে তানিচ স্ব-সংজ্ঞাভি চক্ষুরাদিভি রুক্তানি । তত্র রূপগ্ৰহণলিঙ্গং চক্ষু, শব্দ-গ্ৰহণ-লিঙ্গং শ্ৰেণক্ৰং, গন্ধগ্রহণ-লিঙ্গং ব্রাশং, রস-গ্রহণ-লিঙ্গং রসনং, স্পশগ্রহণ-লিঙ্গং ত্বক, ইতি জ্ঞানেন্দ্রিয়াণাং সংজ্ঞা । এবং বাগাদীনাং কাৰ্য্যং বক্ষতি ॥ ২৬ ৷৷ - অনুবাদ ॥ সাত্ত্বিক অহঙ্কার যাহার উপাদান অর্থাৎ প্রকৃতি (সমবায়ি কারণ ) তাহাকে ইন্দ্রিয় বলে, সেই ইন্দ্রিয় দুই প্রকার,-জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কৰ্ম্মেন্দ্ৰিয়, উভয়টাই ইন্দ্রের অর্থাৎ আত্মার চিকু ( অনুমাপক ) বলিয়া ইন্দ্রিয় নামে অভিহিত হয়, সেই ইন্দ্রিয়গণ চক্ষুরাদি স্বকীয় সংজ্ঞা দ্বারা উক্ত হইয়াছে । জ্ঞানেঞ্জিয় পাচটার মধ্যে যে লিঙ্গ অর্থাং আত্মার অনুমাপকট রূপ-জ্ঞানের করণ, তাহাকে চক্ষু বলে, এইরূপ যেটা শব্দজ্ঞানের করণ তাঙ্গকে শ্রোত্র, যেটা গন্ধজ্ঞানের করণ তাহাকে ঘ্রাণ, যেটা রসজ্ঞানের করণ তাঙ্গকে রসন ও যেটা স্পৰ্শজ্ঞানের করণ তাঙ্গকে ত্বক বলে, উক্ত কয়েকটা জ্ঞানেন্দ্রিয়ের সংজ্ঞা । এইরূপে বাগাদির ব্যাপার বলা যাইবে ॥ ২৬ ৷ মন্তব্য ॥ শাকপ্রিয় পার্থিব ইত্যাদি স্থলে যেমন মধ্যপদ (স্থিায় ) লোপ করিয়া শাকপার্থিবাদি হয়, তদ্রুপ বুদ্ধির সাধন ইঞ্জিয় ইত্যাদি অর্থে মধ্যপদ ( সাধন ) লোপ করিয়া বুদ্ধীক্রিয়াদি নিষ্পন্ন হইয়াছে। "ইন্দ্রে মায়াভিঃ পুৰ্বরূপ ঈয়তে" ইত্যাদি শ্রুতিতে ইন্দ্র শব্দে আত্মাকে বুঝাইয়াছে, ইন্দ্রের চিকু ( মজুমাপক) এইরূপ অর্থে ইন্দ্র শব্দের উত্তর "ঘ" প্রত্যয় করিয়া ইঞ্জিয় পদ হইয়াছে। “করণ-ব্যাপার: কর্তৃ-ব্যাপার-পূর্বকঃ করণব্যাপারুত্বাৎ কুঠারাদি-ব্যাপারবৎ’ অর্থাৎ কৰ্ত্তার ব্যাপার না হইলে করণের ব্যাপার হয় না, যেমন চ্ছেদকের ব্যাপার হইলে কুঠারাদির ব্যাপার হয়, চক্ষুরাদি করণের ব্যাপারও কৰ্ত্তার ব্যাপার জন্ত হওয়া উচিত, সেই কৰ্ত্তাটা আত্মা, এইরূপে আত্মার অনুমান হয়.। “গৃহতে জ্ঞায়তেই নেনেতি গ্রহণং, রূপস্ত গ্রহণং গ্র9করণং রূপজ্ঞান-করণ মিত্যর্থঃ” গ্রহ ধাতুর উত্তর করণ বাচ্যে লুটি, প্রত্যয় করিয়া গ্রহণ পদ নিম্পন্ন खेश्नां८च् ॥ २७ ।। কৌমুদী ॥ একাদশক মিন্দ্রিয়, মাহ। অনুবাদ। একাদশের পূরণ ইঞ্জিয়টাকে (মনকে ) বলিতেছেন। . कब्रिक উভয়াত্মক মাত্র মনঃ সন্ধয়ক মিন্দ্রিয়ঞ্চ সাধৰ্ম্ম্যাৎ । ' ' শুণ-পরিণাম-বিশেষ মুনোত্বং বাহভেদাশ ॥ ২৭ ॥
