পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨૪ . সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী। পাইয়াছেন, জগৎ সৃষ্টি করিতে গিয়া উহার কোন বিষয় অভীষ্ট হইতে পারে নী , অর্থাৎ কোন অভিলষিত বিষয়’পাইবেন বলিয়া ঈশ্বর জগৎ সৃষ্টি করিাছেন, এরূপ বলা যায় না, ঈশ্বর পূর্ণকাম, কোন বিষয়ের অভাৱ থাকিলে আর ঈশ্বরত্ব ঘটে না। ভগবামের দয়া বশতঃ স্বষ্টিতে প্রবৃত্তি হয়, এরূপও বলা যায় না, কারণ, স্বষ্টির পূৰ্ব্বে জীবগণের ইন্দ্রিয়, শরীর ও ভোগ্য বিষয়ের উৎপত্তি না হওয়ায় দুঃখের সত্বাবনা নাই, তবে কোন দুঃখের হানিবিষয়ে দয়া হইবে ? স্বষ্টির পরে দুঃখিত জীবগণ দেখিয়া দয়া হয় এরূপ বলিলৈ অন্ত্যোহন্তাশ্রয় দোষ অপরিহার্য্য হইয়া উঠে, কেন না, দয়া বশতঃ স্বষ্টি ও স্বষ্টি বশতঃ দয়া, এইরূপ হয়। ঈশ্বর দয়া করিয়া স্বষ্টি করিতে পারেন না, এ বিষয়ে আরও কারণ,— দয়া-পরতন্ত্র হইয়া ঈশ্বর জগতের স্বষ্টি করিলে কেবল স্বী জীবগণকেই স্বষ্টি করিতেন, সুখী দুঃখী নানারূপ জীব স্বষ্টি করিতেন না। কৰ্ম্মের বিচিত্রত বশতঃ কৃষ্ট গ্রাণীর বিচিত্রত হয়, অর্থাৎ স্বকীয় ধৰ্ম্ম অনুসারে স্বণ ও অধৰ্ম্ম অনুসারে দুঃখ ভোগ করে এরূপ যদি হয়, তবে প্রেক্ষাবান ( বুদ্ধিমান } ঈশ্বরের কৰ্ম্মে অধিষ্ঠানের আবশুক কি ? ঈশ্বর কৰ্ম্মে অধিষ্ঠান না করিলে অচেতন কৰ্ম্মেরও প্রবৃত্তি না হওয়ার উহার কার্য শরীর,ইপ্রিয় ও ভোগ্য -পদার্থের উৎপত্তি না হওয়ায় দুঃখের অনুৎপত্তিও সহজে ঘটিয়া উঠে। অচেতন ಇಳ್ದ প্রবৃত্তির প্রতি স্বার্থসিদ্ধি বা দা ইগর কোনটা কারণ নহে, স্বতরাং উল্লিখি; দোষের সম্ভাবনা নাই। পরের প্রয়োজন-সিদ্ধিরূপ প্রয়োজকটা উপপন্ন হইতে পারে, অর্থাৎ জড় গ্রকৃতি পুরুষের ভোগাপবৰ্গ সিদ্ধির নিমিত্ত স্বষ্টি করে এ কথা অসঙ্গত নহে। অতএব বংসের বিবৃদ্ধির নিমিত্ত এইরূপ বলা ঠিকই হইয়াছে ॥ ৫৭ ৷ মন্তব্য ॥ অচেতনের ব্যাপার চেতনের অধিষ্ঠান বশতঃই গুইয়া থাকে এইরূপ নিয়ম, সীরথির অধিষ্ঠানে রথের ব্যাপার হইয়া থাকে, গ্রকৃতি অচেতন উহার ব্যাপার হইতে হইলে কোন এক চেতনের অধিষ্ঠান আবশুক, জীবগণের অধিষ্ঠান এরূপ বলা যায় না, জীবগণ পরিচ্ছিন্ন, উহারা অপরিচ্ছিন্ন প্রকৃতির অধিষ্ঠান ( চীলনা) করিতে পারে না, কারণ, প্রকৃতির স্বরূপ কি? তাহ+ ' উহারা জানে না, প্রকৃতির স্বরূপ জানেন এরূপ ব্যক্তি ঈশ্বর ভিন্ন আর কেহ হইতে পারে না, ঈশ্বরবাদী নৈয়ারিকের,এইরূপ আপত্তি হওয়ায় সাংখ্যকার দেখাইয়াছেন “অচেতনের ব্যাপার চেতনের অধিষ্ঠান বশতঃই,হয়” এরূপ নিয়মের ব্যভিচার আছে, বংসের বৃদ্ধির নিমিত্ত অচেতন ক্ষীরের ব্যাপার হয়, এ স্থবে