পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও শান্তিপ্রভৃতি মানবমনের যে কিছু সদ্‌গুণ, সকলই বিনষ্ট হয়। বিশেষতঃ শৃঙ্গার রসাত্মক কাব্য মনুষ্যের স্তর্ষ বৃত্তিকে (কাম বৃত্তিকে) বেগিত করে। স্তর্ষ বৃত্তি যেমন মনুষ্যকে বেগে আক্রমণ করে, অন্য বৃত্তি সেরূপ নহে i স্তর্য বৃত্তির বেগ যখন মানব হৃদয়ে পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়, তখন তাহার দৃশ্য হয় কামিনী, আর ধোয় হয় কামিনীর মূৰ্ত্তি। তৎকালে তাহার মন কেবল সেই রমণী মূৰ্ত্তিতেই বিলাস করিতে থাকে। সে তখন জগতের অন্য কিছুই দেখিতে পায়। না। কি আক্ষেপের বিষয়! যে মন ঐ বিপুল গ্রহ-নক্ষত্র-তারকা: বিরাজিত অনন্ত আকাশ-আর এই সকাননা সভূধরা সাগরান্ত৷ পৃথিবী,—যুগপৎ এতদুভয়কেই আক্রম করিতে সমর্থ,—মনুষ্য সেই মনকে কি না একটা ক্ষুদ্রায়তন নারী দেহে নিমগু করিয়া রাখিবে t কি আশ্চৰ্য্য ! ঐ অবস্থাকেও আবার কেহ কেহ সুখের অবস্থা মনে করেন, বর্ণনাও করেন ; পরস্তু তাহারা একবারও অনুধাবন করেন না যে, তত্ব চিন্তায় নিমগ্ন করিতে পারিলে মন কত উন্নত হয়। ও কত সুখী হয়। একন কি, একটা সামান্য কীটের বা ধূলিকণার তত্ব চিন্তা করিতে করিতে মনুষ্য ঈশ্বরের সন্নিধি লাভ করিতে পারে বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। একজন কাব্য জিজ্ঞায়, আর একজন তত্ব জিজ্ঞাস্থ, এতদুভয়ের মধ্যে যে কি তরতম ভাব আছে, তাহা তিনিই বুঝিতে পারবেন, যিনি একবার উভয় জিজ্ঞাসার স্বাদ গ্রহণ করিয়াছেন। কাব্যবিদ্যা ও তত্ববিদ্যা এতদুভয়ের ফল-তারতম্যের প্রতি নিপুণ হইয়। দৃষ্টিচালনা করিলে, কাবোর আলোচনা রহিত করাই কৰ্ত্তব্য বলিয় প্রতীতি হইবে। পরস্তু আমরা সেরূপ করিতে বলিন। আমাদের মত এই যে শ্রমাপ