পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|ļo /ধদি বল, “কাব্য কারের যে কেবল রমণী মূৰ্ত্তিই চিত্রিত করেন, আর আমরা যে কেবল তাহাতেই ডুবু ডুবু হইয়া থাকি এমত নহে। র্তাহারা কত শত নদ, নদী, সাগর, শৈল, বন, উপবন, তড়াগ, মরুভূমি, শ্মশানভূমি, যুদ্ধভূমি, স্বৰ্গ, নরক প্রভৃতি বর্ণনা করিয়া আমাদিগের চিত্তকে হর্ষ, শোক, আবেগ প্রভৃতি বহুবিধ ভাবে পরিপূরিত করেন,—তদ্বলে আমরাও ইহলোকের জ্বালা যন্ত্রণ। অনেকাংসে ভুলিয়া থাকি,—সুতরাং কাব্যালোচনা আমাদিগের অকুশলের নিমিত্ত নহে। যাহা অকুশলের নিমিত্ত নহে, তাহ পরিত্যাগ করিব কেন ? ”— উত্তর এই যে, আমরা কাব্যকে একবারে পরিত্যাগ করিতে বলিতেছি না ; বলিতেছি কুৎসিত কাব্যের পরিত্যাগ ও সৎকাবোর অল্প সেবা কর। সৎকাব্য বলিয়া তাহাতে ব্যসনী হওয়া উচিত নহে ; যেহেতু ব্যসনী হইলে কাব্যের শুভফল গ্রহ হয় না। ধীরতা ও সম্মুদ্ধি পরিচালন পূর্বক অল্প অল্প সেবা করিলে তৎপরিপাক দশায় কাব্যান্তর্গত শুভফল অনুভূত হইলেও হইতে পারে। কাব্য-নিৰ্ম্মাতার যদি নিৰ্ম্মাণ নৈপুণ্য থাকে, আর পাঠকের মন যদি পাঠ মাত্রেই সেই ৰণনীয় বিষয়ে উপনীত হয়, তাহ হইলুেই, সেই সৎকাব্য দ্বারা নিয় লিখিত ফল লাভের আশা করা যাইতে পারে বটে। যথা— ষে মনুষ্যে দয়া, দাক্ষিণ্য, করুণ, মৈত্রী, পুণ্য লিঙ্গা ও পাপজিহাঙ্গ প্রভৃতি সদগুণের অভাব বা অমুদ্রেক আছে-সৎকাব্য সেবা করিলে হয় ত তত্ত্বাবৎ গুণের উদ্রেক হইতে পারে। স্বৰ্গবাসীদ্বিগের মুখসমৃদ্ধি দেখিয়া হয় ত পুণ্যলিঙ্কার উদয় হইতে পারে— নারকীদিগের নরক যন্ত্রণ দেখিয়া হয় ত পাপৰিহাস জন্সিতে