পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨8 r সাংখ্যদর্শন। [ চক্ষুরিস্ক্রিয় ও বাপিতে দেখা যায় নাই। বিশেষতঃ ভূত পদার্থের এমন কোন শক্তি নাই যে, সে তদ্বারা বিনা বিভাগে দূরস্থ বস্তুর সহিত সম্মিলিত হইতে পারে। যদ্যপি তেজের ঐরাপ শক্তি থাকা কল্পনা কর, কেন না সৰ্ব্বদাই দেখিতে পাইতেছ যে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দীপগুলি ‘প্রভা’রূপে দূর প্রদেশে গমন করিতেছে এবং আrন অপেক্ষা অধিক পরিমাণযুক্ত বস্তুকেও ক্রোড়ীকৃত করিতেছে ; তথাপি, তন্মধ্যে একটু স্বক্ষ দৃষ্টি পরিচালন করা আবশ্যক। নির্ণয় কর দেখি প্রভা বস্তুটি কি ?— প্রভা বস্তুটি অব কিছুই নয়, কেবল কতকগুলি বিরল অবয়ব তৈজসপরমাণু মাত্র। স্বক্ষ-তৈজস পরমাণুর ঘনতমসংযোগ হইলে অগ্নি, আর বিরল ভাব ধারণ করিলে প্রভা ; অগ্নি ও প্রভার এইমাত্র প্রভেদ। এখন বিবেচনা কর, যে সকল আগ্নেয়-পরমাণু দীপ শিখা (পুঞ্জীভূত আগ্নেয়-পরমাণু) হইতে বিশ্লিষ্ট হইয়াছে, পরস্পর বিরলভাবে দূর প্রদেশে চলিয়া গিয়াছে, তাহাদিগের সহিত দীপের বা তাহাদের পরস্পরের সংযোগ আছে কি না ; ‘নাই একথা অবশ্য বলিতে হইবে। না বলিলে,“দাহ জন্মার না কেন ?”—ইত্যাদি অনেকবিধ আপত্তি উখিত হইবে। অতএব দীপের দৃষ্টান্তে ইহাও স্বীকার করিতে হইবে যে,কৃষ্ণসার হইতে যে সকল রশ্মি চলিয়া গিয়াছে, তাহাদিগেরও পরম্পরের সহিত পরস্পরে এবং কুরুসারে আর সংযোগ নাই। যদ্যপি না বল, ধারার ন্যায় সম্প্রসারণ শক্তি থাকা স্বীকার কর, তাহা হইলেও অভীষ্টসিদ্ধি হইবে না। অপসৰ্পণ দেখিয়া চক্ষুকে তৈজস কল্পনা করিতেও পরিবে না। যেহেতু, ওরূপ অপসর্পণ শক্তি অন্য পদার্থেরও আছে। প্রাণবায়ু যে অবিচ্ছিন্ন থাকিরা অর্থাৎ দেহ ত্যাগ না করিয়াওঁ প্রসপিত হয়, তাই বলিয়া কি চক্ষুকে বায়বীয় কল্পনা