পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চক্ষুষজ্ঞান।] সাঙ্খ্যদর্শন । ३8) বৃক্ষাকারে পরিণত হইল। নিকটে আত্মা আছেন, সেই বৃক্ষাকার বুদ্ধি-বৃত্তি আত্মচৈতন্যে প্রতিফলিত বা উজ্জ্বলিত হইবা মাত্র জ্ঞান হইল। “ এই বৃক্ষ, ” বৃক্ষটির প্রতিবিম্ব যেরূপ হইয়াছিল, জ্ঞানের আকারও ঠিক্‌ সেই রূপ হইল। পরিমাণ, রূপ, শাখা, কাও, পত্র প্রভৃতি সমুদয় বিশেষণ ভিঙ্গী বিশেষ] গুলি যুগপৎ ভান ছাপ লাগার মতন। হইল। এইরূপে অন্তঃকরণ একবার যে আকারে পরিণত হয়, অন্তঃকরণের তদবধি সেই আকারে পরিণত হইবার এক অদ্ভূত শক্তি জন্মে, এই শক্তির নাম সংস্কার। এই সংস্কার চিরস্থায়ী অর্থাং যত কাল অন্তঃকরণ, তত কাল স্থায়ী। যে কোন প্রকারে হউক, একবার জ্ঞান হইলে [ অর্থাৎ অন্তঃকরণে একটা বস্তুর ছাপ লাগিলে ] তাহার সংস্কার অর্থাৎ অস্তঃকরণের সেই আকারে পুনঃ পরিণত হইবার শক্তি চিরকালই থাকে। যখন যখন সেই সেই ংস্কারের উদ্বোধক উপস্থিত হইবে তখন তখনই অন্তঃকরণ সেই সেই আকার ধারণ করিবে। এই কারণে, বৃক্ষের অভাব হইলেও--চক্ষুঃ নির্মীলিত করিলেও—প্রতিবিম্বের ধ্বংস হইলেও—কালাস্তরে বা দেশান্তরে অবস্থিত হইলেও সেই পূৰ্ব্ব দৃষ্ট বৃক্ষের স্বরূপটি বা ছায়াটি ংস্কার বলে অন্তঃকরণে পুনরুদিত হইয় থাকে । ইহারই নাম স্মৃতি বা স্মরণ। এই স্মরণাত্মক জ্ঞানের সহিন্তু প্রথমোৎপন্ন প্রমাঙ্গানের প্রভেদ এই যে, স্মরণাত্মক জ্ঞান সংস্কার বলে উদিত হয়, আর প্রথমোৎপন্ন প্রমাঙ্কান সাক্ষাৎ ইন্দ্রিয় দ্বার সমুৎপন্ন হয়। যাহা সাক্ষাৎ ইন্দ্রিয় দ্বারা উৎপন্ন হয় তাহ সুস্পষ্ট, আর যাহা সংস্কার বলে দৃষ্ট হয়, তাহা অস্পষ্ট, যথা স্বপ্ন দর্শন। শক্তিবাদী সংখ্যাচাৰ্য্যদিগের দৃষ্টিবিজ্ঞান এইরূপ ।