পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o § o o o io o সাধন । যে একটি সহজ স্বাভাবিক কাব্যরস আছে সেইটিই আমার নিকট অধিকতর আদরণীয় বোধ হইয়াছিল। আমার কাছে কোনটা ভাল লাগে বা না লাগে সেই কথা বলিয়া সমালোচনার মুখবন্ধ করিতে ভয় হয়। কারণ, র্যাহার সুনিপুণ সমালোচক, এরূপ রচনাকে তাহারা অহমিকা বলিয়া অপরাধ লই৷ থাকেন। তাহাদের নিকট আমার সবিনয় নিবেদন এই যে, তাহার বিবেচনা করিয়া দেখিবেল এরূপ অহমিকা অহঙ্কার লহে পরস্তু তাহার বিপরীত। যাহার উপযুক্ত সমালোচক তাহদের নিকট একটা দাড়িপাল্লা আছে ; তাহারা সাহিত্যের একটা বাধা ওজন এবং সেই সঙ্গে অনেকগুলি বাধি বোল বাহির করিয়াছেন ; ীে কোন রচনা তাহদের নিকট উপস্থিত করা যায় নিঃসঙ্কোচে তাহী পৃষ্ঠে উপযুক্ত নম্বর এবং ছাপ মারিয়া দিতে পারেন। কিন্তু অক্ষমতা এবং অনভিজ্ঞতাবশতঃ সেই ওজনটি র্যাহারা পান নাই, সমালোচনস্থলে তাহাদিগকে একমাত্র নিজের অনুরাগ বিরাশ্নের উপর নির্ভর করিতে হয় । অতএব সেরূপ লোকের পক্ষে সাহিত্য সম্বন্ধে বেদবাক্য প্রচলিত করিতে যাওয়াই স্পৰ্দ্ধার কথা । কোন লেখা ভাল অথবা মন্দ তাছা প্রচার না করিয়া কোন লেখ আমার ভাল লাগে বা মন্দ লাগে সেই কথা স্বীকার করাই তাহী দের উচিত । যদি কেহু প্রশ্ন করেন, সে কথা কে শুনিতে চায়, আমি উত্তর করিব সাহিত্যে সেই কথা সকল মানুষ শুনিয়া আসিতেছে। সাহি ত্যের সমালোচনাকেই সমালোচনা বলা হইয়া থাকে কিন্তু অধি কাংশ সাহিত্যই প্রকৃতি ও মানবজীবনের্সমালোচনা মাত্র। প্রকৃতি BBBB BBB BBB BBBS BBB BB BBB BBB BBB BBS 量 মেয়েলি ছড়া । 8 বিষ্ময় প্রকাশ করেন এবং তাহার নিজের সেই মনোভাব কেবলমাত্র আবেগের দ্বারা ও রচনা-কৌশলে অন্তের মনে সঞ্চারিত করিয়া দিবার চেষ্টা করেন তখন তাহাকে কেহ অপরাধী করে না। তখন পাঠকও অহমিকা সহকারে কেবল এইটুকু দেখেন, যে, কবির কথা আমার মনের সহিত মিলিতেছে কি না ! কাব্যসমালোচক ও যদি যুক্তি তর্ক এবং শ্রেণী:নির্ণয়ের দিক ছাড়িয়া দিয়া কাব্যপাঠজাত মনোভাব পাঠকগণকে উপহার দিতে উদ্যত হন তবে সে জন্ত তাহাকে দোমী করা উচিত হয় না। বিশেষতঃ আজ আমি যে কথা স্বীকার করিতে বসিয়াছি তাহার মধ্যে আত্মকথার কিঞ্চিৎ অংশ থাকিতেই হুইবে । ছেলেভুলানো ছড়ার মধ্যে আমি যে রসাস্বাদ করি ছেলেবেলাকার স্থতি হইতে তাহাকে বিচ্ছিন্ন করিয়া দেখা আমার পক্ষে অসম্ভব। সেই ছড়াগুলির মাধুর্য্য কতটা নিজের বাল্যস্থতি এবং কতটা সাহিত্যের চিরস্থায়ী আদশের উপর নির্ভর করিতেছে তাহ নির্ণয় করিবার উপযুক্ত বিশ্লেষণ-শক্তি বৰ্ত্তমান লেখকের নাই। একথা গোড়াতেই কবুল করা ভাল । "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদী এল বান” এই ছড়াটি বাল্যকাল আমার নিকট মোহমন্ত্রের মত ছিল এবং সেই মোহ এখনও আমি জুলিতে পারি নাই। আমি আমার সেই মনের মুগ্ধ অবস্থা স্মরণ করিয়া না দেখিলে স্পষ্ট বুঝিতে পারিব না ছড়ার মাধুর্য এবং উপলাগিতা কি বুঝিতে পারিব না, কেন এত কাব্য, এত তত্ত্বকথা এবং নীতিপ্রচার, মানবের এত প্রাণপণ প্রবন্ধ এত গলদঘৰ্ম্ম ব্যায়ন্সি প্রতিদিন ব্যর্থ এবং বিশ্বত হইতেছে অথচ এই সকল অসঙ্গত,অৰ্থহীন যদৃচ্ছাকৃত শ্লোকগুলি লোকস্থতিতে চিরকাল প্রবাহিত হইয়া অভ্যালিতেছে। -r TT : - HH BS CS S S S S S AAAAAA