পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্রক্স, ওয়ালাস্ প্রভৃতির নাম করিয়া বসেন। বলা বাহুল ঐ ছুইটী নাম বৈজ্ঞানিকদের সমাজে বড়ই উচ্চস্থান অধিকার কবি । রহিয়াছে। সুতরাং এই নাম উচ্চারিত হইবা মাত্র অনেক কতকটা স্তম্ভিত, কতকটা নীরব হইতে হয় । কথাট। এই,—মনুষ্যচরিত্র ভাল বুঝা যায় না । অনি বেসা · ন্টের জীবনকাহিনী আগাগোড় আলোচনা করিলে ভাষা মতির স্থিরতায় ও গম্ভীর্য্যে কতকটা সংশয় জন্মিতে পারে, এবং ইংরাজ জাতির স্বাভাবিক পরমায়ুর প্রতি একটু কটাক্ষ রাখিলে, শ্ৰীমতীর জীবনের শেষ অধ্যায় ঠিক আরম্ভ হইয়াছে । কি না সে বিষয়েও স্থির কথা বলিতে ইতস্ততঃ করিতে হয়। যাহা হউক অন্যান্ত ব্যক্তির সম্বন্ধে সে তর্ক বড় চলে না । তা હરે পৰ্য্যন্ত বলিতে পারা যায় যে, মনুষ্যচরিত্র রহস্যময়। অতিমাত্র সংযতচিত্ত মনস্বী ব্যক্তিরও মস্তিষ্কের অভ্যস্তরে কোন স্তরে, কোন পরদার অন্তরালে, এমন একটা গোলযোগ জনক কিছু থাকিতে পারে, যাহাতে তাহার বাহ্য আচরণ ও কাৰ্য্যপ্রণালীর সামঞ্জস্য অকস্মাৎ নষ্ট করিয়া দেয়। এতটুকু নিৰ্ভয়ে বলিতে পারা যায়। বলিলেও তাহার উত্তর নাই। তথাপি অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাস মানবজাতির মধ্যে এতটা প্রচলিত, যে, এই বিশ্বাসের মূল ও অর্থ সম্বন্ধে একটু আলোচনা নিরর্থক ন হইতে छूङ गानि বলিতে সকতবে মনের পরদার স্তরের থানে যেন ভূতের অস্তিত্বের লের নৈতিক সাহসে কুলায় না ; নীচের স্তর খুজিয়া দেখিলে, সে - .. ভতি দেখা যায় । সময়ে অসময়ে, প্রতি একটা তীক্ষ সহানুভূতি - বিজনে অর্ণধারে সহানুভূতিটা মৌখিক অবিশ্বাস ও যুক্তির - ঙ্গিতে আপ করিয়া হৃৎকম্পন প্রভৃতি দৈহিক ই লাকে প্রকট করিয়া ফেলে । মুখ যখন বলে, ভূত আবার কি, •. ভ্রমনেকের মন যেন ভিতরে থাকিয়? ইসারায় হাস্য করে । এরূপ, লজিকে ও স্বভাবে গণ্ডগোল উপ স্থত করিয়া মনের ভিতর এরকম একট। উড়,-উড়, ভাব । দেন, যে, ভূত 可t〔豆,3 তাহার । 拂 তাসিয়ু হঠাৎ প্রতিপন্ন করিয়া হইলে মনটা যেন হুঁপি ছাড়িয়া রঙ কালে ও পা বঁকা, তাহ বঁচে । - - মনুষ্যজাতির ইতি ছাস অধ্যয়ন করিলেও এই সংস্কারই বদ্ধমূল হয় । আদি কালে মনুষ্যমাত্রই অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাস করিত ; এবং এক্ষণে যে মনুষ্যসম্প্রদীর জ্ঞান জীবনের শৈশবভাব ত্যাগ ** নাই, নিৰ্ব্বিত্ত্বে ও নিরুদ্বেগে অতি প্রাকৃতে বিশ্বাস করিয়৷ করে, এরূপ বলিলে বড়ই পক্ষকেন না, র্যাচারা জ্ঞানজীবনে সের হাত বিশ্বাস মানুষের স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম । ( | অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাসটা প্রায় সৰ্ব্বদা ও সৰ্ব্বত্রই নুনাধিক পরিমাণে দেখিতে পাওয়া যায়। স্বতরাং এই বিশ্বাস মহুৰা জাতির ঠিক প্রকৃতিগত এবং স্বভাবসিদ্ধ কি না এই বিধরে প্রশ্ন উপস্থিত হইতে পারে। নিজের মনের কথা সাহসের সহিত ও স্পষ্ট করিয়া বলিলে বলিতে হয়, যেন অতি 空i奪び5 থাকে । কে বল যে তাহারাই পাতিতা ও আ বিচার করা হয় । ীেবনগ্রস্ত বলিয়। পরিচয় দেন, তাহারাও এই বি* হইতে একেবারে নিষ্ক্রান্ত হইয়াছেন বোধ হল নী কেন না, গতিপ্রাক্লতে বিশ্বাসের উপর অদ্যপি বড় বড় ধৰ্ম্মমত প্রতিষ্ঠিত ।