পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مدحي همين ー")ヶ8〜 সাধনা । । রের মধ্যে অর্থ দেখিতে পাই – যে সকল বাহ অনুষ্ঠান অজ্ঞ সাধ ; রণের জন্য কল্পিত হইয়াছে, তাহার মধ্যে গৃঢ় অভিপ্রায় আছে। H ভারতবর্ষের মধ্যে সেরা বুদ্ধিমান বাঙ্গালার নব্য সম্প্রদায় যে ইংরাজী : একেশ্বরবাদ এত আগ্রহ ও উৎসাহের সহিত গ্রহণ করিয়াছিলেন, সেই একেশ্বরবাদের প্রতিকূলে আজকাল উণ্ট স্রোত বহিতে আরম্ভ করিয়াছে। আমরা এখন বুঝিতেছি, উহা অপেক্ষ একটা গভীরতর তত্ত্বের আমরা অধিকারী এবং সেই তত্ত্বটি আমাদের দেশের নিজস্ব ধন। স্পেনসরের লেখা আমরা যে পড়িতে ভাল বাসি, তাহার অর্থ যে স্পেনসরও ঈশ্বরের ব্যক্তিগত অস্তিত্বের বিরোধী। তাহার মতে ঈশ্বরের সগুণ কল্পনা মানবীকরণের প্রকা রান্তর মাত্র। র্তাহার মতে ঈশ্বরের স্বরূপ অজ্ঞেয়, অনির্বচনীয়, এক, কিন্তু সেই এক হইতেই কল্পে কল্পে বিবিধ জীব ও সর্বপ্রকার আকার ক্রমশঃ অভিব্যক্ত হইতেছে, তাই তাহার লেখা আমাদের বেদান্তের ব্রহ্মকে অনেকটা স্মরণ করিয়া দেয় ।” এই হিন্দু যাহা বলিলেন তাহ কি সত্য ? ভারতবর্ষ আত্মচেতনা লাভ করিয়া সত্যসত্যই কি ইংলণ্ডীয় জ্ঞান বুদ্ধির অধী নতা-যুগ আপনার স্কন্ধ হইতে দুরে নিক্ষেপ করিয়াছে ? সত্যসত্যই কি ভারতবর্ষ জগৎ ও জীবন সম্বন্ধীয় স্বকীয় মতকে ইংরাজী জাতীয় মতের বিরুদ্ধে দাড় করাইবার চেষ্ট করিতেছে? মুসলমানের অত্যাচারে হিন্দুর মস্তিষ্ক অনেক দিন পর্য্যন্ত অসাড় হইয়াছিল, এখন কি ব্রিটানিয়ার শান্তি-ছায়ায় থাকিয়া সেই মন্তিক কাজ করিতে আরম্ভ করিয়াছে ? কোথা হইতে এইরূপ হইল ? যাহা হউক এ বড় আশ্চৰ্য্য দৃশু—দুইটি বিপরীত সীমার মানবজাতি পরস্পর মুখামুখী করিয়া অবস্থিত। এক দিকে উদ্যম, কার্যকরী ইচ্ছাশক্তি, ইংরাজী কেজোভাব, আর এক দিকে হিন্দুর চিন্তাকরন নেত্রের তৃপ্তি সাধন করিয়া, একাকী সেই আশ্চৰ্য্য রাস্তার মধ্যে আপনাকে হারাষ্টয়া, বিচিত্রবণের আনন্দে প্রাণকে পূর্ণ করিয়া, এই জয়পুরের অদ্ভূত কল্পনায় উন্মত্ত হইয়৷ আজিকার নিগ অতিবাহিত করিলাম। পরে, নগরের বাহিরে গিয়া যে পথটি অম্বরের দিকে দিয়াছে সেই পথটি অনুসরণ করিলাম। শুভ্র সুন্দর একটি কটিবন্ধের হায় এই পথটি, ক্ষুদ্রতরু-প্রমাণ অদ্ভুত একপ্রকার হরিদ্বর্ণ ঘাসের মধ্যে দিয়া ঘুরিয়া ঘুরিয়া গিয়াছে। এই কণ্টকাকীর্ণ পুষ্ট ঘাস অনেকদূর পর্য্যন্ত ভূমিকে আচ্ছন্ন করিয়া রাৰিয়াছে । এই অচল কঠিন উদ্ভিজ্জ যেন পৃথিবী ছাড়া অন্য কোন গ্রহের মনে হয়। এই ঘাসের অরণ্যের অপর প্রান্ত হইতে, পুরাকালের ইমারতসকল—শত শত অট্টালিকা, শত শত মৰ্ম্মর-এস্তরের মলির উজ্জল স্বৰ্য্যরশ্মির মধ্যে ঝক ঝক করিয়া জলিতেছে। লাল ও নীল পৃদ্ধি ছদভূষিত নরনারীর দল আনন্দ মনে চলিয়াছে। এত ময়ূরের বাক্ আমি কখনও দেখি নাই—আর, এমন স্বন্দর ময়ূর। পথ্য মধ্যেই ময়ূরের বিচরণ করিতেছে এবং তাহদের মণিময় পাণ স্বৰ্য্যালোকে দ্ধিক বিক করিতেছে। এই ময়ূরের মুক্ত অথচ পোন" ইহার শাহারও সম্পত্তি নহে এবং বিশ্বস্ত ভাবে লোকের মধ্যে বাস করিছি। সকল প্রকার নিরীহ জীবজন্তু হিন্দুদিগের নিকট পবিত্ৰ ; ময়ূরও এই কারণে হিন্দুদিগের সেব্য – তাহাদিগকে ছোলা খাইতে প্ৰজ্ঞ লোকে পুণ্য কাৰ্য বলির মনে করে । আমার ভৃত্য লাল, আমাকে গম্ভীর ভাবে বলিল, “এই ময়ূরের কাহারও কিছু