পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હss সাধন । সাংখ্যদর্শন। స8 কি আর আমাদের ভোগ नाई জ্ঞান নাই ? আমরা সকলেই এই চিন্তায় জর্জরিত। যাহাকে আমরা দেহ বলি—তাহাই যদি আমাদের ষোল আনা হয় তবে ত আমাদের মত হতভাগ্য জীব আর নাই! মনুষ্য এই চিন্তায় অধীর হইয়৷ দেহব্যতিরিক্ত আত্মা আছে কিনা ইহার তর্কে প্রবৃত্ত হয়। আত্মা কি ? –চেতনাময়-সুখময়-দুঃখময় বাঞ্ছাময়-ইচ্ছাময় একটা জিনিষ। দেহ কি ? -- রূপরসগন্ধম্পর্শময় অচেতন একটা জিনিষ । আত্মা- আছে — ইহার প্রমাণ কি ?-- জ্ঞান ৷ দেহ আছে ইহার প্রমাণ কি ? তাহাও জ্ঞান। বাঃ–এ ত বড় বিচিত্র কথা ! জ্ঞানে কি প্রমাণ করে ?—জ্ঞান কি জ্ঞান ভিন্ন অপর কোনও পদার্থেরই প্রমাণ হইতে পারে ? যখন জ্ঞান হই তেছে—তখন অবশ্যই জ্ঞান আছে – কিন্তু জ্ঞান ভিন্ন আর কিছু আছে তাহার প্রমাণ কি ? —- এইস্থানে পৌছিয়া কেহ কেহ বলিয়া বসেন—সংসারটা একটা বিচিত্র রঙ্গ তামাসার জায়গা— দেহও নাই—আত্মাও নাই ; আছে কেবল জ্ঞান—জ্ঞান—জ্ঞান ; অবিচ্ছিন্ন জ্ঞানের স্রোতের নাম সংসার। . . . . . সাংখ্য ইহার প্রতিবাদ করিয়া বলেন—ন না;জ্ঞানে যেমন জ্ঞান প্রমাণ হয় তেমনি ক্ষণিক ও ধারাবাহিক জ্ঞানরাশির আধারভূত “বিজ্ঞাত।” আত্মারও প্রমাণ श्ट्झ । । তবে জগৎসংসার आदछ–न। জগৎসংসার , নাই ?–এ প্রশ্ন স্থলদৃষ্টি লোকের নিকট করিলে তাহদের কেবল অবাক হইবারই কথা। কিন্তু জগৎসংসার আছে কিনা অনুধাবন করিয়া দেখিলে আমাদের বিজ্ঞান জীবনের এক অবস্থায় তাহার প্রকৃত অস্তিত্ব সম্বন্ধে ঘোরতর সংশয় আসিয়া উপস্থিত হয়। . এই অবস্থায় অনেক পণ্ডিতে জগৎসংসারই নাই शनिझ बनन` মহামতি কপিল জগৎকে ব্যক্ত ও অব্যক্ত বলিয়া বিভিন্ন করিয়া বিজ্ঞানের মহোপকার সাধন করিয়াছেন। তিনি বলেন, ব্যক্ত জগৎ স্থায়ী ভাবে নাই, অব্যক্ত জগৎ স্থায়ী ভাবে আছে। জ্ঞানের দুই কোটি —এক কোটিতে বিজ্ঞাতার স্বতঃপ্রামাণ্য, অপর কোটিতে বিজ্ঞাতের স্বতঃপ্রামাণ্য। “জড়প্রকাশযোগাৎ প্রকাশঃ”— জ্ঞানকে খণ্ড খণ্ড করিয়া কাটিয়া দেখিলেও তাহার চরম বিশ্লেষণ এইরূপ। অতএব সাংখ্যদর্শনে বৈজ্ঞানিক নাস্তিবাদ নিরস্ত করে। তাহার পর বৈজ্ঞানিকেরা দুই সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়েন। একদল মায়াবাদী—একদল জড়বাদী। কেহ বলেন জড় আত্মার কার্য্য, কেহ বলেন আত্মা জড়ের কার্য্য। সাংখ্যের এই দুই সম্প্রদায়কেই - ভ্রান্ত বলেন। তাহারা বলেন জড়ও আত্মার কাৰ্য্য নয় আত্মাও জড়ের কার্য্য নহে। আমাদের জ্ঞানের যতদুর সীমা—ততদূর আমরা উভয়কেই পৃথক দেখি। আমরা কৃত্রিম মনুষ্যও গড়িতে পারি না এবং কৃত্রিম মৃত্তিকাও গড়িতে পারি না। দর্শন শাস্ত্রের যতদূর দৃষ্টি চলে ততদূর দেখা যায় আত্মাও স্বাধীন। উভয়ে জ্ঞ-জ্ঞেয় সম্বন্ধে আবদ্ধ মাত্র। কিন্তু সেই সম্বন্ধের বিশ্লেষণ ঘটলেও তাছাদের বিনাশের সম্ভাবনা নাই । পলর ধ্বংস হইলেও আত্মার চৈতন্য বা জড়ের অন্তোন্তাভিভবাশ্রয়দের ধ্বংসের সম্ভাবনা দেখা যায় না। কেন না, সাংখ্যদর্শন পয়সারে স্বাধীন নিত্য পদার্থ যে কদাচ বিনষ্ট হয় তাহার সম্পূর্ণ জড়ও স্বাধীন প্রেমাণাভাব । গত মাসের সাধনায় রামেন্দ্রসুন্দর ত্ৰিবেদী মহাশয় লিখিয়াছেন- . . . . “বহিঃপ্রকৃতি অথবা জগৎ সৰ্ব্বতোভাবে মানব মনেরই স্বঃ– কথাটা আমরা যখন তখন ভুলিয়া যাই।” ইহা প্রাচীন যোগ “অতিপ্রাকৃত” শীর্ষক প্রবন্ধে ত্রযুক্ত এ কথাটা আমরা যখন তথ