পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'ন স্বভাবতে। বদ্ধস্য মোক্ষসাধনোপদেশবিধিঃ । অননুষ্ঠানলক্ষণম অপ্রামাণ্যং স্যাৎ ।” ১ । ৭ – ৮ । মুক্তিবিষয় শাস্ত্রও তাহ হইলে অননুষ্ঠেয়তা দোষে দূষিত হইবে। কিন্তু আত্মা স্বভাবতঃ “বদ্ধ” নয়। - “ন নিত্য শুদ্ধবুদ্ধমুক্তস্বভাবস্য তদ্যোগঃ তদ্যোগাৎ ঋতে ।”—১ । ১৯ আত্মা স্বভাবতঃ নিত্য শুদ্ধ বুদ্ধ ও মুক্ত। দুঃখের সহিত যোগ কেবল প্রকৃতির সহিত যোগজন্য। অনেক বিচারের পর সাংখ্যের প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা করিলেন—যে, “অবিবেক” বা প্রকৃতি পুরুষ যে ভিন্ন এই জ্ঞানের অভাব বশতই আত্মা বদ্ধভাবাপন্ন হয়। দেহকে যতদিন মনুষ্য আত্মা বলিয়া ভ্রান্ত হয় ততদিন দুঃখ পায়। যদি কেহ জিজ্ঞাসা করেন যে, দেহ ও আত্মা ভিন্ন বুঝিলেই কি আমাদের দুঃখের অবসান হইবে ? তাহার উত্তরে সাংখ্যেরা বলেন, তা কিরূপে সম্ভব ? “যুক্তিতোহপি ন বাধ্যতে দি মূঢ়বদ অপরোক্ষাদ ঋতে” ৷ ১ ৷ ৫৯ ৷ যখন কাহারও একবার দিকভ্রম হয় সে উত্তরকে দক্ষিণ ভাবেহাজার তাহাকে উত্তর বল—হাজার সে বুঝুক যে, ইহা উত্তর বটে, তবু তাহার দক্ষিণত্ব প্রতীয়মান যায় না। জ্যোতিষশাস্ত্রে স্বৰ্য্যকে পৃথিবী অপেক্ষা বৃহৎ প্রতিপন্ন করিলেও তাহ সেই যেমন চিরকাল থালাখানার মত দেখা অভ্যাস তেমনিই দেখা যায় । তেমনি কেবল يحمم যুক্তির দ্বারা দেহ আত্মার ভেদ উপলব্ধি করিলেও দুঃখের অবসান নাই। কিন্তু তাহার পরেও তাহ পূর্বের ন্যায় অভিন্ন বলিয়া প্রতীয় মান হইতে থাকিবে । অতএব মুক্তির জন্য বিবেক-সাক্ষাৎকারের প্রয়োজন। "ি কালব্যাপী ক্লেশকর তপস্যার মধ্যে অবস্থিত হইয়া সমাধি বা ধারের দ্বারায় বিবেক সাক্ষাৎকার হয়। যুক্তি দ্বারা উপলব্ধি এক প্রকার 輕 স্বভাবস্য অনপায়িত্বাং | সাংখ্যদর্শন । ఈనిన আর সাক্ষাৎকার দ্বারা উপলব্ধি আর এক প্রকার। দি ব্যক্তি যুক্তি দ্বারা দক্ষিণকে দক্ষিণ বুঝিলেও—কিয়ৎকাল তাহাকে উত্তর বলিয়া পরিগ্রহ করিতে থাকে। অবশেষে হঠাৎ কোনও সময়ে তাহার ভ্রম ভাঙ্গিয়া গিয়া দক্ষিণকে দক্ষিণ বলিয়া সাক্ষাৎকার উপলব্ধি হয়। যখন দেহ আত্মা ভেদ সম্বন্ধে আমাদের এইরূপ “সাক্ষাৎকার”সংজ্ঞাভেদ জ্ঞান হয়—তখনই আমাদের দুঃখের অবসান সম্ভব। তপস্যাযুক্ত ধ্যানই এই অবসানের উপায়। ইহা হইতেই তপস্যাযুক্ত যোগাভ্যাসের উৎপত্তি । দুঃখের সহিত স্বীকার করিতে হইবে সাংখ্যদর্শন এস্থলে দর্শনের সীমা ছাড়াইয়া কল্পনার সীমায় গিয়া পড়িয়াছে। একশত বৎসর তপস্যা করিলেও আমাদের ক্ষুৎপিপাসা বা শীতাতপের ক্লেশের যে অবসান হইবে তাহার প্রমাণ নাই। কপিল অবিবেকী ব্যক্তিকে “অবুদ্ধ”—ও সাক্ষাৎক্ত-বিবেক ব্যক্তিকে “বুদ্ধ” এই সংজ্ঞা প্রদান করেন। আত্মা স্বভাবতঃ “বুদ্ধ” বলিয়া তিনি খ্যাপন করেন। আত্মার এই স্বাভাবিক অবস্থা কোনও কারণে বিকৃত হওয়ায় আমরা “অবুদ্ধ’ হইয়াছি। কিরূপে সেই স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রাপ্ত হওয়া যায় তাহার মতে তাহাই চেষ্টা করা কৰ্ত্তব্য । - তাহার উপদেশে মোহিত হইয়া অনেকে তপস্যা দ্বারা “বুদ্ধ” হইতে চেষ্টা করিতে লাগিলেন। সংসারে ভণ্ডের অভাব নাই – কিন্তু সিদ্ধার্থ গৌতম নামক এক নিরতিশয় সত্যপ্রিয় অমায়িক মহাপুরুষ পরীক্ষা করিয়া সংসারে প্রচার করিলেন—যে, তপস্তাতে ধতিনরি ও ক্লেশের অবসান না হইয় তাহ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। কিন্তু এক পক্ষে সিদ্ধার্থও কপিলের যুক্তির ঘোরে থাকিয় গেলেন। আত্মা ।

  • উত্তাপে থাকিয়াও যখন উত্তাপ বোধ হয় না—অথচ চৈতন্য विनाशन BBBB BBBSBSBBBB BBBBB BBS BB S S S S S

f i