বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*** नांदनी । কিন্তু ভাল লাগিল এ কথাটা বড় শীঘ্ৰ শেষ হইয়া একটা রীতিমত প্রবন্ধাকারে প্রতিষ্ঠি - স্বসাধ্য বোধ হয় না। - আবার, যখন ভাল লাগে, তখন, কেন ভাল লাগে, কেমন দি * লাগে তাহার চেতন থাকে ন৷ =উচ্ছসিত ಇg o হইলে .: হয় না। সমালোচনা করিতে করিয়া তুলিতে হয়। দকে নিতান্তই খোচা দিয়া দিয়া সচেতন আমি নিজেকে জের করিয়া অবশে প্রাপ্ত হইয়াছি। সেইটা দিয়া সমাে কেহ – مر" vo ۰-- ..سـ. يؤ،همــــ " " মধ্যে প্রচ্ছবান অসংখ্য লঘু শরসমূহে উক্ত নিরূপ নিঃসহায় ব্যক্তির সাহিত্য-কুরুক্ষেত্রে বঙ্কিম বাবু সেই মহাবীর বিদ্যুদগামী শরজাল দশদিক আচ্ছন্ন করিয়া ছ অত্যন্ত লঘু, কিন্তু লক্ষ্য বিদ্ধ করিতে भ्रू さ .# স্থত কাল বিলম্ব করে না। রাজসিংহ প্রথম হইতে উন্টাইয়া গেলে এই ক্ষেপ করিতেছে না। সকলেই অবিশ্রাম চলিয়াছে। এবং সেই অগ্রসরগতিতে প - দি সরগতিতে পাঠকের মন সবলে আকৃষ্ট হইয়া গ্রন্থের পরিশামের দকে বিন আয়াসে ছুটিয়া চলিতেছে। 隱 邸 器 醫 যায়, সেটাকে ; ত করিয়া তোলা সকল সময় L; 穩 পরিচ্ছেদে বড় বড় কৈফিয়ৎ বসিত। রাজসিংহ ।

এই অনিবাৰ্য্য অগ্রসর গতি সঞ্চার করিবার জন্য বঙ্কিম বাবু তাহার প্রত্যেক পরিচ্ছেদ হইতে সমস্ত অনাবশুক ভার দূরে ফেলিয়া দিয়াছেন। অনাবশ্যক কেন, অনেক আবশুক ভারও বর্জন করিয়াছেন, কেবল অত্যাবশুকটুকু রাখিয়াছেন মাত্র। কোন ভীরু লেখকের হাতে পড়িলে ইহার মধ্যে অনেকগুলি জবাবদিহির ভয়ে তাহাকে অনেক কথা বাড়াইয়া লিখিতে হইত। সম্রাটের অন্তঃপুরের মধ্যে । প্রবেশ করিয়া বাদসাহজাদীর সহিত মোবারকের প্রণয়ব্যাপার, তাহাই লইয়া দুঃসাহসিক আতরওয়ালী দরিয়ার প্রগলুভতা, চঞ্চলকুমারীর নিকট আপন পরামর্শ ও পাঞ্জাসমেত যোধপুরী বেগমের দূতীগ্রেরণ, সেনাপতির নিকট নৃত্যকৌশল দেখাইয়া দরিয়ার পুরুষবেশী অশ্বারোহী সৈনিক সাজিবার সম্মতি গ্রহণ-— এসমস্ত যে একেবারেই সম্ভবতীত তাহা না হইতে পারে—কিন্তু ইহাদের সত্যতার বিশিষ্ট প্রমাণ আবস্তক। বঙ্কিম বাবু এক একটি ছোট ছোট পরিচ্ছেদে ইহাদিগকে এমন অবলীলাক্রমে আসঙ্কোচে ব্যক্ত করিয়া গেছেন যে কেহ তাহাকে সন্দেহ করিতে সাহস করে না। ভীতু লেখকের কলম এই সকল জায়গায় ইতস্তত করিত, অনেক কথা বলিত এবং অনেক কথা বলিতে গিয়াই পাঠকের সন্দেহ আরো বেশি করিয়া আকর্ষণ করিত। | - বঙ্কিম বাৰু একে ত কোথাও কোনরূপ জবাবদিহি করেন নাই, তাহার উপরে আবার মাঝে মাঝে নির্দোষী পাঠকদিগকেও ধমক দিতে ছাড়েন নাই। মাণিকলাল যখন পথের মধ্যে হঠাৎ অপরিচিত। নিৰ্ম্মলকুমারীকে তাহার সহিত এক ঘোড়ায় উঠিয়া বসিতে বলিল এবং নিৰ্ম্মল যখন তাহার নিকট বিবাহের প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করিয়া অবিলম্বে মানিকলালের অনুরোধ রক্ষা করিল, তখন লেখক কোথায়