পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিক আর কিছুই নহি ।” . . . . অধ্যাপক তাহার তুর্কি বন্ধুদের সহিত তর্কবিতর্ক করিয়া দেখিয়াছেন “একটি বিষয় তাহার কেহই অস্বীকার করিতে পারেন না যে, খৃষ্ট যেমন আপনাতে মানবজীবনের উচ্চ আদর্শ প্রকটত করিয়া ছিলেন এমন আর কোন ধৰ্ম্ম-গুরু করিতে পারেন नाङ्गे ।” उत्व ম্যাক্স মূলর একথাও স্বীকার করেন যে, “মহম্মদ সত্য ও ছায়ের উদ্দেশে এবং লোকের হিতার্থে আপনার জীবনকে উৎসর্গ করিয়া ছিলেন। তিনি যে সত্যের মধ্যেই ঈশ্বরের ভাব ধরিতে পারিয়া ছিলেন ইহাতেই বুঝা যাইতেছে তিনি একজন প্রকৃত ধৰ্ম্মগুরু। তবে তিনি যে স্বীয় অন্তরাত্মার নীরব বাণীকে আর্কেঞ্জেল গেব্রিজলের বাক্য বলিয়া মনে করিয়াছিলেন, তাহাতে ইহাই প্রকাশ পায়, যে, তাহার ভাষা আমরা বুঝি না।” amroadr"***

হিন্দু-বিজ্ঞান কিরূপে বিনষ্ট হইল ? গত জানুয়ারী মাসের “কলিকাতা রিভিউ পত্রিকায় “বিজ্ঞান ও ধৰ্ম্মের সহিত হিন্দুমনের সম্বন্ধ” নামক একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছে। লেখক বলেন, ভারতবর্ষে বিজ্ঞান দ্রুতবেগে উন্নতি লাভ করিয়া হঠাৎ এক সময়ে থামিয়া গেল এবং তাহার সহিত কাল্পনিক উপন্যাস ও ঔপধৰ্ম্মিক বাতুলত সংমিশ্রিত হইয়া ভারত বর্ষীয় বিজ্ঞান অধোগতি প্রাপ্ত হইল। উন্নতির অবস্থায় দর্শনের যে স্বক্ষতা, পৰ্য্যবেক্ষণের যে যথাযথতা এবং যুক্তির যে তীক্ষত দেখা গিয়াছিল তাহ একেবারেই তিরোহিত হইল। লেখকু বলেন, I সম্ভবতঃ দর্শনশাস্ত্র, বিশেষতঃ বেদান্তদর্শনের अङ्कानद्वंद्दे अिहे अडान' বিষয় সম্বন্ধে তোমাদিগকে আদেশ করি তখনও আমি মানুষের | 劃 醬 忍 প্রধান কারণ। বেদান্তদর্শনই এ দেশের ভৌতিক উন্নতির পথে | தி কণ্টকস্বরূপ-অভিশাপস্বরূপ হইয়া দাড়াইল। বেদান্তদর্শন পার্থিব পদার্থের প্রতি ঘোর ঔদাস্ত ও তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করিতে শিক্ষা দিয়া বিজ্ঞানের মূলে কুঠারাঘাত করিল। বেদান্ত বলিলেন, আত্মার অভ্যন্তরে মনোনিবেশ কর, অবাস্তব বাহ প্রকৃতির অনুসরণ করিতে গিয়া আসল সত্যকে ভুলিয়ে - সত্যই যোগীর ধ্যানের বিষয় । a. আর এক কথা, প্রকৃতি হিন্দুর প্রতি নিতান্ত সদয় হইয়াই নির্দয় པོ་ཙྰ་ হইয়াছেন; তাহার অতিমাত্র স্নেহই হিন্দুকে নিৰ্ব্বীৰ্য্য করিয়া ফেলিয়াছে। তাহার উপর আবার এই বেদান্তের শিক্ষা । কেবল জীবনরক্ষার জন্য যে সকল দ্রব্য আবশ্যক তাহ বিনাক্লেশে প্রকৃতির নিকট হইতে হিন্দুর পাইয়াছে—তাহার উপর আবার বেদান্ত এই শিক্ষা দিতেছেন, জীবনরক্ষার জন্ত নিতান্ত যাহা প্রয়োজনীয় তাহা পাইয়াই সন্তুষ্ট থাক, তাহার অধিক অর্জন করিতে যাওয়া পণ্ডশ্রম ও বৃথা কালহরণ মাত্র। শুধু তাহাই নহে, বেদান্ত আরও বলিলেন, আত্ম-ত্যাগ আত্ম-নিৰ্য্যাতন অভ্যাস কর, জীবনের সমস্ত স্থখ বিসর্জন কর এবং সৰ্ব্বপ্রকার দৈহিক পার্থিব আরাম সম্ভোগে বাঁতরাগ হও । এই শিক্ষার পর বিজ্ঞানের উন্নতি আর কি করিয়া হইবে ? - - সাধারণ বিদ্যালয়ে কলাবিদ্যার শিক্ষা । o ও মিথ্যা শিক্ষাপ্রণালী” নামক একটি প্রবন্ধে এইরূপ বলেন, বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক শিক্ষার বিষয় হইতে চিত্রবিদ্যা সঙ্গীত ఢీ

8 Oqt

না। নিরাধার মূল পার্টজ সাহেব “আরেন” পত্রিকার জানুয়ারি মাসের সংখ্যায় ।