পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধন । নেবে গেলুম। একটি কায়ীক সেখানে আমাদের জন্যে অপেক্ষ। করা ছল । - - প্রি-পাশার রাশি রাশি কালে বাড়ি ঐ উচ্চে স্ত,পাকৃত হ’য়ে সোনালী রৌদ্রে ভাসছে ও সব সার্সি চিকচিক্‌ করছে। এরিকনা জ ও আলেম্শ। লাল কাপড় পরে, সুর্য্যোদয়ে তাদের বাড়ির ছাতে চড়ে বসে’ দূর থেকে আমাদের যা ওয়া দেখছে। ঐ আয়ুব গেল, ঐ স্থলইমানের কফিশালা, মসজিদের ক্ষুদ্র গৃহ । জলের ধারে কেউ নেই ; সব এখনো বন্ধসন্ধ ও মন্ত । অামার বাড়িটিকে আমি কতবার বরফে ও উত্তরে বা তাসে অন্ধকার ও স্নান দেখেছি, কিন্তু শেষ ছবিস্বরূপ তাকে স্থৰ্য্য করণে ঝলসি ত দেখে গেলুম। হয়েছে ; স্বর্ণপৃঙ্গ বরাবর, আয়ুব থেকে সেরালি ও পর্য্যন্ত, গম্বুজ ও মিনারগুলি স্বচ্ছ আকাশের গায়ে গোলাপী বা রামধন্ডুর আভায় অঙ্কিত রয়েছে । ঘোমটাচ্ছন্ন রমণী বা সুবেশী যাত্রী বহন করে শত শত সোনালী কায়ীক ভাস্তে আরম্ভ করেছে। আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে জাহাজে এসে পড়লুম। সেখানে সব ওলটুপালটু,–এবার সত্যই যাওয়া হবে। যাত্রার সময় বেল দুপুর ঠিক করা হয়েছে। শেষবার কুজনে একত্র বসে নারগিলে খাই ।” আমরা দৌড়ে দৌড়ে সালি বাজার, টপ-হীনে ও গালটি পার হয়ে ইস্তাস্কুলের সাকোতে এসে উপস্থিত হলুম। - জলন্ত রৌদ্রে লোকের ভীড় তাড়াতাড়ি চলেছে ; আমি যেমনি চলে যাচ্ছি, অমনি বাস্তবিক বসন্ত কাল স্থায়ীরূপে এসে উপনীত হল । ঐ উচ্চে ইস্তাম্বুলের মুকুটস্বরূপ প্রাচীর, গম্বুজ, ও মিনার রাজির উপর এই মধ্যাহ্নের প্রখর আলোক বর্ষি ত হচ্ছে ; রামধন্থর উজ্জলতম রঙের বস্ত্র পরিহিত এক বিচিত্র রঙীন জনতার উপরও সেই আলো বিকীর্ণ হয়ে পড়েছে। সুদৰ্শন যাত্ৰীসাধারণ বহন করে” নেীক আসছে যাচ্ছে ; হকারগণ ভীড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে প্রাণপণ চাংকার করছে । এই \s এই শেষ স্থৰ্যোদয়টি অসাধারণ উজ্জল । পিয়ের লোটি ও ইস্তাম্বুল ।" নৌকাগুলি আমাদের বস্ফরসের সকল স্থানেই নিয়ে গেছে, আমরা সবগুলিকেই চিনি ; আমরা ইস্তাম্বুলের সাকোর উপরকার সব দোকান, সব যাত্রী, এমন কি, সব ভিক্ষুকদের চিনি,—যত কাণ, খোড়া, লুলো, গন্না কাটা ও ঠু’টোর সম্পূর্ণ সঙ্কলন । আজ তুরস্ক ইকে ভিক্ষা বিতরণ করলুম, এবং এক গঙ্গা আশীৰ্ব্বাদ ও সেলাম উপার্জন করলুম। আমরা ইস্তাম্বুলে, জেনি-জামির বৃহৎ ক্ষেত্রে মসজিদের সমনে থামলুম। আমার জীবনে এই শেষবার, তুকা হবার স্থখ,–আমার বন্ধু আহম্মদের পাশে বসে এই প্রাচ্য চিত্রের মধ্যে নারগিল খাবার স্থখ অনুভব করলুম । আজ প্রকৃত বাসন্তী উৎসব হয়েছে,—পরিচ্ছদ ও রঙের এক প্রদর্শন বিশেষ । সকলেই বাইরে এসে বসে আছে, প্লেনবৃক্ষ}য়, মা বলের ফোয়ারার চতুর্দিকে, আঙুরলতার জাফুরির iীচে,--সেটা শীঘ্রই নব কিশলয়ে ছেয়ে যাবে। নাপিতগণ রাস্তায় তাদের আড়ড়া স্থাপন করেছে, এবং খোলা বাতাসে কাজ চ্ছ ; গোড়া মুসলমানগণ গম্ভীরভাবে মাথা কামিয়ে নিচ্ছে, রে একটি টকি রেখে দিচ্ছে, সেটা ধরে মহম্মদ তাদের স্বর্গে তুলে নিয়ে যাবেন । আমাকে কি কেউ কোনরূপ স্বর্গে নিয়ে যাবে না ?—এই শ্রান্তিকর বিরক্তিকর জরাজীর্ণ পৃথিবী ছাড়া আর কোন জায়গায়, যেখানে কিছুই বদলাবে না, যেখানে আমি যা ভাল বাসি কিম্বা বেসেছি তার থেকে ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন হব না ? –কেউ যদি কেবল } থামাকে মুসলমান ধৰ্ম্মে বিশ্বাস দিতে পারে, তাহলে আমি কি আনন্দাশ্র সহকারে প্রেরিতপুরুষের সবুজ নিশান অলিঙ্গন করি টিকির প্রসঙ্গে কি যে অসঙ্গত কথা এনে ফেলুম তার ঠিক নেই মোলাগণ তাদের মিনারে উঠছে, দ্বি প্রহরের নমাজের কাল পস্থিত ; আমার যাবার সময় হয়েছে । * * * আহম্মদ আমার সঙ্গে সঙ্গে জাহাজে এল, সেখানে দেখা ।