পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- --- - - - - w - ఫోజ్లోi:: عضئتغتخة تانغ تعيين فتعتقدت مدينكولن -------- --«r, 、ソミ8 সাধন । মহাভিনিস্ক্রমণ বৃত্তান্ত । ১২৫ এই আখ্যায়িকীটি একটি স্বন্দর রূপক বলিয়া বুঝিতে 懿 হইবে। সিদ্ধার্থের জীবনে মার বলিয়া পাপপুরুষের নাম আমরা সৰ্ব্বদ শুনিতে পাইব । সংস্কৃত অভিধানে ইহার অর্থ কাম । কিন্তু বৌদ্ধের ইহাতে একটি বিশেষ পুরুষত্ব আরোপ করে । কাম অথবা পাপ বলিয়া একজন বিশেষ পুরুষ আছে । লোকদিগের মনে পাপরাজ্য বিস্তার করাই তাহার কার্য্য । যখনি কেহ কোন সাধু উদ্দেশ্য পালন করিবে বলিয়া কৃতসঙ্কল্প হয়, নি মীর আসিয়া তাহাকে স্থখ ঐশ্বৰ্য্যের প্রলোভন দেখাইয়। কুপথে আনিবার চেষ্টা করে । আমরা দেখিতেছি যে, বৌদ্ধধৰ্ম্মে মরে যাহাকে বলে খ্ৰীষ্টান ও মুসলমান ধৰ্ম্মে সয়তান তাহাকেই বলে । পাপ বলিয়া একটি বিকার আছে । ইহা সকলেই স্বীকার করে। ইহা মানুষের রক্তমাংসে সংযোজিত । যেখানে মানুষ সেইখানে পাপ । যখন মানুষ সবল, প্রকৃতিস্থ নী থাকে, তখন এই বিকার আসিয়া তাহাকে আক্রমণ করে । মিরা ইচ্ছা করিলেও, প্রাণপণে চেষ্টা করিলেও ইহাকে ড্ৰাইতে পারি না । যথেষ্ট সাধু ইচ্ছার সঙ্গে, ঘোর নিষ্ঠ ও তপস্যার মধ্যে, যখন জানিতেছি যে,—স্বৰ্গ আমার চক্ষের সম্মুখে, আর একপদ অগ্রসর হইলেই সেইখানে প্রবেশ করিতে পারি,— ঠিক তখনই পাপ আসিয়। আমাদিগকে আক্রমণ করিয়া থাকে । এই যে পাপের এক বিশেষ ক্ষমতা, এই যে পাপের সদা ব্যস্ততা, দ্রব্য দেখিয়া কি হইবে ?” তিনি আর কোন দিকে দুষ্টপাত না করিয়া অগ্রসর হইলেন । বৌদ্ধ পুস্তকে লিখিত আছে যে, যে মুহূৰ্ত্তে সিদ্ধার্থ রাজভবন দ্বার অতিক্রম করিয়া আসিলেন, সেই মুহূর্তে মার বলিয়। পাপ । পুরুষ তাহাকে আক্রমণ করিল। সে সিদ্ধার্থকে বলিল—“তুমি পিতা, পুত্র, স্ত্রী ও রাজ্য ত্যাগ করিয়া কোথায় যাইতে ? এমন কৰ্ম্ম কখন করিও না । সন্ন্যাসী হইয়। কি হইবে ? আমি সপ্তাহ মধ্যে তোমাকে চারি দ্বীপের চক্রবর্তী রাজা করিয়৷ { শীঘ্ৰ গৃহে প্রত্যাবৰ্ত্তন কর।” সিদ্ধার্থ জিজ্ঞাসা করিলেন—“তুমি কে?” সে উত্তর দিল—“আমার নাম মার।” সিদ্ধাৰ্থ বলি ! লেন—“আমি মনে করিলে রাজা হইতে পারি তাহ জানি। কিন্তু আমি তাহ হইব না। পৃথিবীর ঐশ্বৰ্য্য লইয়া কি হইলে ? সমস্ত মায়াবন্ধন কাটিয়া আমি বুদ্ধ হইব, ইহাই আমার । মানস ।” পাপপুরুষ পরাস্ত হইল। কিন্তু সে মনে মনে বলিল –“আচ্ছা, তুমি আমাকে ছাড়িলে কিন্তু আমি তোমাক | ছাড়িতেছি না। কাম, ঈর্ষা এবং মোহ এই তিন অস্ত্র আমার হাতে। ইহাদিগের সাহায্যে আমি তোমাকে পরাস্ত করিব।” সেই পৰ্য্যন্ত যেমন ছায়। শরীরের অনুগমন করে, মার সিদ্ধার্থের অনুগামী হইল, আর র্তাহার সঙ্গ ছাড়িল না । * + “মার” এই কথাটি সংস্কৃত তাহার কোন সন্দেহ নই। কিন্তু যে 可颂 বেীদ্ধের ইহা ব্যবহার করে তাহ প্রচলিত অর্থ হইতে বিভিন্ন। বৌদ্ধের ইর একটি বিশেষ অর্থে প্রয়োগ করে। পারস্যদেশের ধৰ্ম্মসংস্কারক জোরোয়াস্তারের ইতিহাসে লিখিত আছে যে, তিনিও পাপপুরুষ দ্বারা প্রলুব্ধ হন । তাহার নাম । অক্তিমান অথবা মৈরিয় বা মৈৰ্য্য। মার এবং মৈরিয় এই দুইটি কথার বেশ । সোসাদৃশ্য আছে। সেই জন্য এ দুটি কথা প্রকৃত আৰ্য্য কথা, কেবল ভারতের কথা নহে। যখন পারস্য এবং ভারতের আর্য্যজাতির একত্রে অবস্থিতি করিত ? rچہ ج --তখন তাহাদিগের মধ্যে এই কথাটি এই অর্থে ব্যবহৃত হইত বলিয়। বোধ হল । ইহ দেখিয় ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বীরা পাপকে কোন বিকার ন! বলিয়া পুরুষভাবে কল্পনা করিয়া লইয়াছে। ঈশ্বর যেমন মনুষ্যকে শপত হইতে সৎপথে লইয়া যান, মারও সেইরূপ মনুষ্যকে সৎ বইতে অসৎ পথে লইয়। যাইবার জন্য সদা ব্যগ্র । সুতরাং যেমন । আমরা ঈশ্বরকে পুরুষ বলিয়। নির্ণয় করি-অর্থাৎ তিনি কে বল -