পাতা:সাধনা (দ্বিতীয় বর্ষ).djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংখ্যদর্শন। * ২২ ॥ সাংখ্যদর্শনের “ইন্দ্ৰিয়” । এতদেশীয় দার্শনিকের বলেন ইঞ্জিয় একাদশ প্রকার। চকু কর্ণাদি পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয় ; বা পানি প্রভৃতি পাচটি কৰ্ম্মেস্ক্রিয় ; আর মন উভয়ামুক মিশ্র ইঞ্জিয় । এস্থলে জিজ্ঞাসা এই ইঞ্জিয় শব্দের অর্থ কি ? ভাষা কথার ইঞ্জিয় ও সাংখ্যদর্শনের ইঞ্জিয় এক নহে। মস্তকনিহিত গোলকসকে সাংখোরা চক্ষুরিস্ক্রিয় বলেন না ; বিধৃত লেখনী অস্থিমাংসকে তাহারা "পানি” নামক ইন্দ্রিয় বলেন না ; কিম্বা মন্তক মধ্যস্থিত মজ্জাকে তাহারা মন বলেন না। সাংখ্যেন্ত্রী-বলেল— SuDD DBBllS BBHBB BBBBS 00 AAAAA 0 স্বাহী দর্শনশাস্ত্রসম্মত “ইস্ক্রিয়" তাহ প্রত্নাক্ষযোগ্য নহে। যাহারা অক্ষিগোলকাদি ইন্দ্রিয়েল অধিষ্ঠানকে “ইন্দ্ৰিয়” বলে তাহারা ভ্রান্ত । ইজি শব্দের সাংখ্যদর্শনসম্মত অর্থ আত্মার শক্তি। যে শক্তি থাকাতে আত্ম দেখিতে পায়, শুনিতে পায়, তর্ক করিতে পারে, হস্ত পদাদি সঞ্চালনরূপ প্রকৃতির গতি উৎপাদন করিতে পারে তাহাই আয়ার “ইক্ৰিয়” । যদি তাহাই হয়, তবে একাদশ ইঞ্জিস্ব স্বীকারের প্রয়োজন কি ? একমাত্র “শক্তি নামক পধার্থ স্বীকার করিলেই ত হয় ? এস্থলে মাংধোত্রা বলেন – - StBBBBSBBBBBBB B BBBDS D S00S না ; কেন না একমাত্র ইঞ্জিয় অঙ্গীকায় করিয়া তাহারই ইজিয়ের এক প্রতিপন্ন হইল না। ভাষ্যকার এস্থলে বলেন— 3. অতএব দেখা যায় সাংখ্য মতে আত্মার কতকগুলি অতীন্ত্রিয় ভালবাস স্লাগঞ্চর ইত্যাদি “মনন” ; একস্থান হইতে অন্যস্থানে | সাংখ্যদর্শন। రి: - - ভেদ বলিলে—ফলে ইঞ্জিয়ের ভেদ অঙ্গীকার করা হইল-প্রকৃত “একল এর ইঞ্জিলা শfলেখককেশি ইঞ্জিখুভুেদঃ লিখ্যতি । শস্ত্রী41 BB BB BBSBS BBBBBBB BBBB BBBS - এস্থানে "শীনামপি ন লিথিয়া শক্তনামেব" লেখা উচিত ' | ছিল । স্বত্রের তাৎপর্যা এই যে “শক্তির"ই নাম ইন্ত্রিা। যদি শক্তির ভেদ স্বীকার কর তবে ইঞ্জিয়েরই ভেদ স্বীকার করা হইল । * - শক্তি আছে , তাহার দ্বারা দর্শন শ্রবণ আদি জ্ঞান , স্মরণ চিন্তন সঞ্চরণ আদি ক্রিয়া-করণ সংসাধিত হয় । শক্তি-ন্ত্রি জল অতীন্ত্রি শক্তি-স্বতীয় ইভ্রিন্থ। । কথাটা কেমন খাপছাড়া বোধ হয় না ? “অতীন্দ্রিয়মৃ ইন্দ্রিয়মূ– এ কেমন কথা ? এস্থলে “অষ্ঠাঙ্গিয় শঙ্গ প্রচলিত অর্থ “মপ্রত্যক্ষ" এই মাত্র খুঞ্চিলে আর কোন গোলোযোগ নাই। যে পদার্থ বাহা বলিয়া প্রতীয়মান হয় তাহার জ্ঞানকে “প্রত্যক্ষ” বলা যায় । পাঠকগণ মনে করিলেন না যে ইন্দ্রিয় অপ্রত্যঙ্গ” বলিলে ইন্দ্রিয় একবারে জ্ঞানের অগোচর। আমাদের দে দশনাদি শক্তি আছে— তাহা আমরা বিলক্ষণ জানি ; কিন্তু যে অর্থে গোলাপ ফুলকে "দেখামায় গে অর্থে তাড়শ শক্তিকে "দেখা যায় না"। - অবিবেচক লোকে খাহীকে ইঞ্জিয় বলে-সাংগোর তাহাকে কেবল “ইস্ক্রিয়ের অধিষ্ঠান" বলেন । সাংধ্যেরা যাহাকে ইঞ্জিয় বলেন সাধারণ লোকে তাহা শূন্মে কি না সন্দেহ । ইন্দ্রিয়ের অধি-- ঠানের সহিত ইঞ্জিয়ের কি সম্বন্ধ ইহা দশনশাস্ত্রের একটি অতি