পাতা:সাধুচরিত.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষকতা ও সমাজসংস্কার । 8 S. নীলকরগণের নিদারুণ অত্যাচার চলিতেছিল ; সেই ভীষণ কাহিনী বিবৃত করিয়া প্রজাবন্ধু হরিশ্চন্দ্রের“হিন্দু পেটিয়টু” ভীমবলে তৎপ্রতীকারে বদ্ধপরিকর হইল, বাঙ্গালা ভাষায় “সোমপ্রকাশে”র অভু্যদয় ও প্রতিষ্ঠালাভ ঘটিল, ক্রমে দেশে সংবাদপত্র প্রচারের দ্বার খুলিয়া গেল । নব্যবঙ্গের সাহিত্য-গগনে এই সময়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রপুঞ্জের আবির্ভাব হইল,—কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে পুরোবৰ্ত্তী করিয়া কাব্যাকাশে মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্ত সমুদিত হইলেন, নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের “নীলদর্পণ” ‘নীলকর-বিষধরগণের বিষদস্ত চিরদিনের জন্য উৎপাটিত করিয়া দিল, বিদ্যাসাগরের প্রাঞ্জল ও প্রসাদগুণযুক্ত ভাষার উপর বঙ্কিমচন্দ্রের সর্ববতোমুখী প্রতিভার বিমল রশ্মি পতিত হইয় তাহাকে অপরূপ স্থষমায় মণ্ডিত করিল, তাহার তুলিকার বিচিত্র বর্ণসম্পাতে এবং অসাধারণ কাব্যকৌশলে বাঙ্গাল সাহিত্য অপূর্বব ক্র ও গৌরবে উস্তাসিত হইল । অতঃপর মহাত্মা কেশবচন্দ্র সেন আবিভূর্ত হইয়া একেশ্বরবাদ প্রচারে প্রবৃত্ত হইলেন । ভাবের গভীরতায়, ভাষার ললিত ছটায় ও র্তাহার বক্তৃতার মোহিনী শক্তিতে যুবকগণ মন্ত্রমুগ্ধের স্যায় তাহার দিকে আকৃষ্ট হইতে লাগিল । সকল দিকেই আশা ও উদ্যমের চিন্তু পরিলক্ষিত হইল । নব্যবঙ্গের উদীয়মান