পাতা:সাধুচরিত.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষকতা ও সমাজসংস্কার । 8念 --ു.--്കും. রামতনু বাবুর শিক্ষাদান-প্রণালী সম্বন্ধে তাহার সুযোগ্য ছাত্র অবসরপ্রাপ্ত একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মাষ্ঠবর ক্রীযুক্ত ক্ষেত্রমোহন বস্থ মহাশয়ের লিখিত পত্র হইতে নিম্নে কিয়দংশ উদ্ধত হইল । “ আtহারের পর মানসিক-চিন্তা অস্বাস্থ্যকর, এইজন্য ইস্কুল বলিলে ছাত্রদের প্রথমে হস্তলিপি লিখিবার নিয়ম করিয়াছিলেন ; এই সঙ্গে বানান শুদ্ধির কার্য্যও হইত । “আধ ঘণ্টা লেখার পর পড়া আরস্ত হইত। পড়ার প্রথম অঙ্গ আবৃত্তি ৷ যতক্ষণ না উচ্চারণ শুদ্ধি ও যতিচ্ছেদ ঠিক হইত, ততক্ষণ আবৃত্তি করিতে হইত। তিনি নিজে বার বার আবৃত্তি করিয়া শিখাইতে ক্রটি করিতেন না । পাঠের অনেক অংশ তাহার আবৃত্তিগুণে আমাদের বোধগম্য হইয়া যাইত । আবৃত্তির পর ব্যাখ্যা মারস্তু হুইত । শব্দের প্রতিশবদ বলিলেই ব্যাখ্যা হয় না । প্রথমতঃ সহজ ভাষায় পাঠের অর্থ বলা হইত। তারপর প্রশ্ন দ্বারায় লেখকের ভাব ছাত্রদের হৃদয়ঙ্গম করিবার চেষ্টা করিতেন । তৎপরে পাঠ্য বিষয়ের আমুসঙ্গিক যাহা কিছু থাকিত, সমস্ত আলোচিত হইত । “ ছাত্রেরা যাহাতে আপন যত্নে শিখে, যাহাতে লেখাপড়ার প্রতি তাহাদের রুচি জন্মে এবং যাহাতে শিক্ষার ফল তাহার কার্য্যে পরিণত করিতে পারে, এই সকল