পাতা:সাধুচরিত.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wos সাধু-চরিত । সেবায় মনোনিবেশ করিলেন । র্তাহার সময়ে অtহার নিদ্রা তিরোহিত হইল । সহোদরের শুশ্রষার জন্য এই সেবাত্ৰতধারিণী মহিলা যাহা করিয়াছিলেন, তাহা সচরাচর দৃষ্ট হয় না । কতদিন আহার করিতে বসিয়া ভ্রাতার কাতরোক্তি শুনিয়া উঠিয়া গিয়াছেন, কতদিন সিক্ত বস্ত্র পরিবর্তন করিবার সময় হয় নাই, তাহা গাত্রেই শুষ্ক হইয়াছে, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠাপূর্ণ চিত্তে রুগ্ন ভ্রাতার শয্যাপাশ্বে উপবেশন করিয়া কত বিনিদ্র রজনী অতিবাহিত করিয়াছেন, কিন্তু কিছুতেই ভ্রাতার ক্রর রোগের কোন প্রতীকার হইল না । এই অত্যাচার ইন্দুমতীর সহিল ন, তিনি নিজে যক্ষমারোগে আক্রান্ত হইলেন। ইন্দুমতীর পড়ার কথা শ্রবণ করিয়া সকলেই নিতান্ত ভীত হইলেন । পীড়াও দেখিতে দেখিতে ভয়ানক বাড়িয়া উঠিল । তখন সকলকে বায়ুপরিবর্তনের জন্য তারাতে লইয়া যাওয়া হইল । তথায় কাহারও যন্ত্রণার লাঘব হইল না, বরং আর এক দুর্ঘটনা ঘটিল । লাহিড়ী মহাশয়ের ছোট কন্থাটা হঠাৎ জ্বররোগে প্রাণত্যাগ করিল। তৎপরে পরমবন্ধু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পরামর্শে সকলে ইন্দুমতীকে কৃষ্ণনগরে হইয়া আসিলেন । ঐ বৎসর আগষ্টমাসে লাহিড়ী মহাশয়ের চতুর্থ পুত্ৰ বিনয়কুমার রক্তাতিসার রোগে যখন খুব পীড়িত, সেই