পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাবাইস বুদ্ধি ।
১৭

পড়িয়াছিল, একজন প্রহরী তাহাকে ঐরূপ অবস্থায় পাইয়া হাসপাতালে আনয়ন করে, কিন্তু ঐ ব্যক্তি যে কে, কোথা হইতে সে ময়দানে আসিল ও কিরূপেই বা সে মন্তকে আঘাত প্রাপ্ত হইল, তাহার কিছুই বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছি না। সে এখনও অচৈতন্য অবস্থায় রহিয়াছে, চৈতন্য হইবে কি না, জানি না। যদি চৈতন্য হয়, তাহা হইলেই উহার নিকট হইতে সমস্ত অবস্থা অবগত হইতে পারিব, নতুবা কোন্ উপায় যে অবলম্বন করিতে হইবে, তাহার কিছুই স্থির করিয়া উঠিতে পারিতেছি না।

 কৌতূহলের বশবর্ত্তী হইয়া আমরাও উহাকে দেখিবার নিমিত্ত গমন করিলাম, আমাদিগের সমভিব্যাহারী জহুরিও অমাদিগের সহিত গমন করিলেন। উহাকে দেখিবামাত্র জহুরি চীৎকার করিয়া উঠিলেন ও কহিলেন, “আমরা যাহার অনুসন্ধান করিতেছি, ইনিই আমার সেই কর্ম্মচারী, কে ইহার এইরূপ সর্ব্বনাশ করিল?”

 জহুরির কথা শুনিয়া আমরাও অতিশয় বিস্মিত হইলাম ও মনে করিলাম, সেই স্ত্রীলোকটা কি ইহাকে এইরূপে আহত করিয়া হতজ্ঞানে ময়দানে নিক্ষেপ করিয়া চলিয়া গিয়াছে? স্ত্রীলোকের দ্বারা কি এইরূপে হত্যাকার্য্য সম্পাদিত হইতে পারে? কি দস্যুগন এইরূপ একটা দল সৃষ্টি করিয়া কার্য্যক্ষেত্রে পদবিক্ষেপ করিয়াছে? ঐ স্ত্রীলোকটীও কি তাহাদিগের দলের একজন। ঈশ্বর করুন, ইহার শীঘ্র চৈতন্যলাভ হউক, ইহার নিকট সমস্ত অবস্থা শুনিতে পাইলেও আমরা অনেক বিষয় অবগত হইতে পারিব।