পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাবাইস বুদ্ধি।
১৯

হইয়াছিল, তাহার নিকট হইতে অবগত হন, যে সুশীলা এখন চন্দননগরে বাস করিতেছে, কিন্তু চন্দননগরের কোন্ স্থানে যে বাস করিতেছে, তাহা কিন্তু তিনি ঐ চাকরকে জিজ্ঞাসা করেন নাই।

 যাহা অবগত হইলাম, তাহাতে চন্দননগরে গিয়া উহার অনুসন্ধান করাই সাব্যস্ত হইল।

 চন্দননগর ফরাসী রাজ্যের অন্তভূর্ত, সুতরাং সেইস্থানে গিয়া কোনরূপ অনুসন্ধান করিতে হইলে ফরাসী গবর্ণমেণ্টের আদেশ অগ্রে গ্রহণ করিতে হয় ও তাহাদিগের কর্ম্মচারীর সাহায্য ব্যতীত কোনরূপ অনুসন্ধান করিবার উপায় নাই। এদিকে প্রকাশ্যভাবে ফরাসী রাজ্যের কর্ম্মচারীগণের সাহায্য লইতে গেলে প্রায়ই নানারূপ গোলযোেগ ঘটে, সুতরাং অনুসন্ধান করিবার সময় প্রায়ই বিপরীত ফল হইয়া থাকে, ইহা আমি অনেকবার নিজেই দেখিয়াছি। এরূপ অবস্থায় প্রকাশ্য অনুসন্ধান না করিয়া যদি ছদ্মবেশে অনুসন্ধান করিয়া সুশীলার কোনরূপ সন্ধান পাওয়া যায়, তাহার নিমিত্ত পুর্ব্বকথিত সেই পশ্চিম দেশীয় কর্মচারীকে প্রেরণ করিলাম। তাহাকে বিশেষ করিয়া বলিয়া দিলাম, যে কার্য্যের নিমিত্ত তিনি গমন করিতেছেন, সেই কার্য্য তিনি যত করিতে পারুন বা না পারুন, তিনি যে ইংরাজ রাজকর্মচারী, তাহা যেন তাহারা কোনরূপে অবগত হইতে না পারে। আর তাহার দোষে যদি তাহার কথা প্রকাশিত হইয়া পড়ে, তাহা হইলে তাহার জন্য তাঁহাকে দণ্ড গ্রহণ করিতে হইবে, অথচ ইংরাজরাজ হইতে তিনি কোনরূপ সাহায্য প্রাপ্ত হইবেন না। ইতিপূর্ব্বে একবার আমরা ঐ