পাতা:সাবাইস বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
দারােগার দপ্তর, ১৩৯ সংখ্যা।

করিবার পর পশ্চিমের মেলগাড়ীতে ঐ মেমসাহেব আসিয়া সেই ষ্টেশনে অবতরণ করিলেন। আমার সহিত জহুরির যে লোক ছিল, সে ঐ মেমসাহেবকে দেখিবামাত্রই কহিল, এই স্ত্রীলোেকই তাহাদিগের দোকানে গমন করিয়াছিল, এবং তাহারই সহিত তাহাদিগের দোকানের প্রধান কর্ম্মচারী অলঙ্কার লইয়া গমন করিয়াছিল।

 এই কথা বলিবমাত্র আমি তাহাকে কোন কথা জিজ্ঞাষা না করিয়াই একেবারে তাহাকে সেই রেলওয়ে ষ্টেশনের প্লাটফারমের উপর ধরিয়া ফেলিলাম। এইস্থানে অনেক পাঠক মনে করিতে পারেন যে, তাহাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া একেবারে তাহাকে গ্রেপ্তার করার উদ্দেশ্য কি? রেলওয়ে ষ্টেশনের বাহির হইতেই ফরাসীদিগের রাজত্ব আরম্ভ হইয়াছে, উঁহাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলেই যদি তাহার মনে কোনরূপ সন্দেহের উদয় হয় ও যদি তিনি ধৃত হইবার পূর্বে ষ্টেশনের বাহির হইয়া। ফরাসী রাজত্বের মধ্যে পদার্পণ করেন, তাহা হইলে তাহাকে ধৃত করা নিতান্ত সহজ হইবে না। অথচ সময় পাইলে তাঁহার নিকট যদি কিছু থাকে, তাহা তিনি অনায়াসেই হস্তান্তর করিতে সমর্থ হইবেন। সুতরাং তাহাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া বা তাঁহাকে রেলওয়ে ষ্টেশনের বাহিরে গমন করিবার কোনরূপ সুযোগ প্রদান না করিয়া, তাহাকে সেইস্থানে ধৃত করিলাম। তাহাকে ধরিবার সময় তিনি ভয়ানক গোলযোগ করিয়া উঠিলেন, কিন্তু তাঁহার দিকে আমরা কিছুমাত্র দৃষ্টিপাত না করিয়া যাহাতে তিনি কোনরূপে ষ্টেশনের বাহিরে গমন করিতে সমর্থ না হন, তাহার উত্তমরূপ বন্দোবস্ত করিয়া পরিশেষে তাঁহাকে