Ե- সারীর্ণব । তন্ত্র পুরাণও তাহাকে কখন পুরুষবোধে নারায়ণ, বিষ্ণু, শিব, আদিত্য, কাল বলিয়া, কখন বা প্রকৃতি বোধে আদ্যাশক্তি, মহামায়া ভগবতী, দেবী, জননী, ধাত্রী, সাবিত্ৰী, গায়ত্রী, সরস্বতী, কালী, কমলা, ঈশানী বলিয়া বর্ণনা করেন। ফলে বেদে প্রণবপুরুষকে “সৰ্ব্বরূপ” বলিয়া যে স্তুতি করেন, তাহারই দৃষ্টান্তস্বরূপে তন্ত্রপুরাণে র্তাহাকে "শক্তিমান" বলেন, অতএব শক্তির প্রাধান্ত মান্ত করিয়া উপাসনাকল্পে উপাস্তদেবতার ধ্যানাদিও তদনুযায়ী হইয়াছে, যথা— “শবরূপ মহাদেব হৃদয়োপরি সংস্থিতা” এবং স্তুতির্যথা, “শিবঃ শক্ত্যাযুক্তে যদি ভবতি শক্ত প্রভবিতুং” ইত্যাদি। এতাবত অশব্দব্ৰহ্ম প্রকৃতি সহসংযোগে প্রথম (নাদ) শব্দময়, পরে (অক্ষর) বর্ণময় হইয়া ব্যক্ত হইয়াছেন, প্রণব মন্ত্রীজ হইতে ইহাই সপ্রমাণ হইয়াছে। স্বতরাং আনন্দবাজাঙ্কুরিত প্রণবমূলক বিশ্বে ও কারাকার আত্মদেবতাকে “বিশ্ববীজ” বলা যায়। যিনি শিৰশব্দে আনন্দময় झटझन । সেই সৰ্ব্বসাক্ষী সচ্চিদানন্দ ও কারাত্মক পরমপুরুষ বীজরুপে বিবাটদেহে কোথায় আছেন, তাহা মনুষ্যদেহের সহিত ঐক্যতা সাধন সহকারে লক্ষ্য করাইবার উদ্দেশে কহিতেছেন, যথা,— ‘সহস্রদলানামন্তদ্বাদশদল পঙ্কজে। ‘বসত্যোঙ্কারমাত্রোপি বর্ণাঃ পঞ্চামুনাসিকাঃ ॥ “জিহামূলীয়োপধ্বানীয়ে নাদবিন্দুঃ শিবঃ স্বয়ং। “তদৃভাষা ভাষিতাঃ সৰ্ব্বে তা স্বরাশ্চকাশিরে। “ততে বৈ ত্রিরেখা ভদ্রে কণিকাপুট সন্নিধৌ। “অ ক থাদি ত্রিষোড়শী হল ক্ষ কোণ লক্ষিণী । “ইদং বৈ কারণং লিঙ্গং স্থযুপ্তি স্থানমুচ্যতে । “তৎ কাৰ্য্যং তৈজসং স্বপ্নং ষটচক্রে বিন্দুব্যাপিনী ॥ ‘চতুর্দলে মূলাধারে ব শ ষ স ইতি বৈক্রমং । অর্থাৎ শিরস্থ সহস্রদল কমলান্তর্গত স্বাদশদল পঙ্কজের সৰ্ব্বোচ্চ দলে শিবরূপ প্রণবপুরুষ এবং তাহার বামাবৰ্ত্তে ক্রমান্বয়ে v • নাদ বিন্দু, অ ই উ মাত্রা (কলা) ত্রয়, ঙ ঞ ণ ন ম পঞ্চ অধুনাসিক, জিহবামূলীয় ও উপদ্ধানীয় এই একাদশাক্ষরের অধিষ্ঠাত্রী আত্ম (শিব) পরিবারগণ নিত্য অচলভাবে বিরাজিত আছেন, তাহীদের
