পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

うb" সারার্ণব । ই প্রধানং পরাবাণী তমাত্রার্দ্ধ পরা স্কৃত, অমাত্রে সে তয়োম্মধ্যে যদিত্যব্যয়মুচ্যতে ॥ অবিতর্কতমাত্ৰাৰ্দ্ধা সা পরা পূৰ্ব্বভাগিনী, অৰ্দ্ধমাত্রা বিতর্ক বৈ যা চৈবোত্তর গা ভবেৎ ॥ উভয়োরন্তরে সন্ধে তুরীয়ং ব্রহ্মচিন্ময়ং, ভাসতে বিম্বভূতে সে সগুণশ্চেশ্বরে ভবেৎ ॥ সো মাত্ৰঃ পূৰ্বরূপঞ্চ পর চৈবোত্তরং পরং, সা পরা তত্ৰ বৈ সন্ধিবির্বস্বভূতাৰ্দ্ধ মাত্রিকা ॥ অখণ্ডমণ্ডলং ধামং যদেতদ্রাস মণ্ডলং, তদ্ভাসা ভাসিতং বিশ্বং বিভাতি ব্ৰহ্ম তন্ময়মৃ” ॥ অর্থাৎ স্বীয় শক্তিদ্বয়ের মধ্যে বিরাজমান চিন্মাত্র ব্রহ্ম যে অহরহ রাস বিহার করিতেছেন তাহা “চিৎ" শব্দে সপ্রমাণ হইয়াছে। চিৎ শব্দের ই পরাবাণী এবং “ৎ’ অৰ্দ্ধমাত্রা অপরাবাণী, এতদুভয়ের মধ্যে চ কার শব্দে যে অ কার অব্যক্ত rঅক্ষর" রূপে আছেন, তিনি চিন্ময় ব্ৰহ্ম হয়েন। অতএব গোপিনীদ্বয় মধ্যে হরি, শ্বেতাশ্বেতঞ্চ অর্থাৎ নিবৃত্তি ও প্রবৃত্তি বা উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ণ পথের পথিক ( অধিকারী ) আত্মা রূপে আপনি আপনাকে বদ্ধ ও মুক্ত করিয়া সদানন্দে রাস ক্রীড়া করিতেছেন । এই রাসলীলা যেমন ভাগবতে বর্ণিত হইয়াছে সেইরূপ যোগিনী স্বয় মধ্যে আদ্যা শক্তি অথবা ভৈরব দ্বয় মধ্যে মহাকালের লীলা, তন্ত্র পুরাণাদিতেও বর্ণিত হইয়াছে। বাণীভেদেই ভেদ বোধ হয়, চিৎ শব্দে ভেদাভাব ইহাও সত্য । অখণ্ড মণ্ডলাকার যে নিত্য "গোলকধাম’ অথবা "কৈলাশ ধাম” তাহা চিৎ শব্দে প্রকাশ হয়, তাহারই নাম ‘রাসমণ্ডল” অথবা “প্রকৃতিচক্র” বলা যায়, তাহারি প্রকাশে বিশ্ব ব্রহ্ম-তন্ময় বোধ হয়, ইহারি নাম বিবৰ্ত্তবাদ । সেই রাস মওল নির্গত সপ্তমরীচীকা, সপ্তগুণ প্রাপ্তে, একোনপঞ্চাশৎ প্রাণ পবন নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে। সপ্তগুণ যথা,-নিমিষণ, উন্মিষণ, সংকোচন, প্রসারণ, স্পর্শন, প্ৰলপন, শ্বসন । তাহাতে রজোগুণে ব্ৰহ্মা, সত্বগুণে বিষ্ণু এবং তমোগুণে রুদ্র

  • শ্বেতাশ্বেত,-শুক্ল কৃষ্ণ ।