সাৰ্বজনীন Sbምኑ মহেশ্বর পথ দিয়ে যাচ্ছিল, তাকে ডেকে বিনোদ কথা বলে, সদর উঠানের ফালিটুকুতে দাঁড়িয়ে। মহেশ্বরকে ভেতরে ডেকে বসতেও বলে না। সে চলে গেলে স্ত্ৰেতর থেকে বেরিয়ে এসে প্রণব বলে, বাড়ীটা বিক্ৰী করে বিধুবাবু এখন আপশোস করছেন-পদ্মার কাছে শুনলাম। আপশোষ কেন ? নিজে ভাল মালমশলা দিয়ে বাড়ীটা করেছিলেন, কেনা বাড়ীতে গিয়ে দেখছেন, ওঁচা সন্তা মাল দিয়ে তৈরী। বিনোদ শুনে পরিতুষ্ট হয়ে বলে, দেমাক হলে এমনিই হয়। পাড়ায়। মানুষ একটু গেয়ে তো বটেই। কিন্তু আমরাও তো আছি এ পাড়ায় ! একটু গা বঁচিয়ে চললেই হত। উনি একেবারে বাড়ী বেচে পাড়া ছেড়ে পালালেন । আমরা থাকতে পারি, উনি থাকতে পারেন না ! কি ভেবে বলা যায় না, হঠাৎ একদিন বিকালের দিকে বিনোদের বাড়ীর মেয়ের বেড়াতে আসে মহেশ্বরের বাড়ীতে। প্ৰণবের মা বলে সুভাগিনীকে, আপনি এত ভারি ভারি গয়না গায়ে ৰুদ্ৰাখেন। কি করে !! সুভাগিনী হেসে বলে, এবার তো তবু অনেক কম ওজোন। আগের দিনের দু’একখানা গয়না যা আছে গায়ে রাখা যায় না। এই অনন্ত জোড়া করেছিল আমার শাশুড়ীর শাশুড়ী। প্ৰণবের বোন সন্ধ্যা বলে, আপনারা কি আর দেশে যাবেন না ? * কি আছে দেশে, কোথায় যাব ? : আপনাদের বাড়ীতে একটি মেয়ে কে গান শেখেসুভাগিনী অবাক হয়ে তার মুখের দিকে চেয়ে থাকে। এক কথা থেকে আচমকা আরেক কথাতে যাওয়া শুধু নয়, এতদিনের প্রতিবেশীর বাড়ীতে কোন মেয়েটি গান শেখে সে প্রশ্ন এ জিজ্ঞাসা করছে তাকে ।
পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০২
অবয়ব