পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-Qo G সাৰ্বজনীন ঃ কি করা যাবে ?

বাবা আসুক ।

মহেশ্বর কাজের চেষ্টায় বেরিয়েছিল। সন্ধ্যার আগেই সে ফিরে আসে । চিঠি পড়ে তার মুখে নেমে আসে বিমৰ্ষত ।

একবার তো যেতে হয় তাহলে ?

সুরমা বলে, তুমি অস্থির হয়ে না। বাবা। কতবার তোমায় কতভাবে ঠকিয়েছে মনে নেই ?

তাই বলে তো আর মরতে দেওয়া যায় না !

পরমেশ্বর বলে, কোন বিষয়েই বাড়াবাড়ি করতে নেই। আবার যদি ঠকায়, ঠকাবে। কিন্তু এ অবস্থায় চুপ করে থাকলে তোমার অন্যায় হবে-তোমার সে অধিকার নেই। কারণ, এটা যেমন ওর আরেকটা মতলবও হতে পারে, তেমনি আবার সত্যও হতে পারে কথাটা । ওর obziš (Vol (Noa (M85 i একটু থেমে সে যোগ দেয়, এই ভাবেই মারা যায় এসব মানুষ। মহেশ্বর আবার বলে, না না, যাই করে থােক-একেবারে মরতে দেওয়া যায় না কিছুতেই ! সুরমার মুখের ভাব নরম হয় না। বলে, মরতে কি আর সত্যি দেওয়া যায় বাবা ? আমরা যাবে চলাকিন্তু তোমাকে শক্ত থাকতে হবে। আগে বুঝতে হবে সত্যি লিখেছে কিনা, তারপর যাহোক ব্যবস্থা করা যাবে। ব্যাকুল হয়ে ওর আর কোন ফ্রাদে আমরা পা দেব না । মহেশ্বরও অবাক হয়ে মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে থাকে। তারও