“কেন মিছে মা মা কর, মায়ের দেখা পাবে নাই,
থাকলে এসে দিত দেখা সর্বনাশী বেঁচে নাই।
শ্মশানে মশানে কত, পীঠস্থান ছিল যত,
খুঁজে হ’লাম ওষ্ঠাগত, কেন আর যন্ত্রণা পাই?
মা গেছে নাম-ব্রহ্ম আছে, আমার তরিবার ভাবনা নাই।”
তা’ মায়ের উপর এমন তম্বি বড় কমও নয়, কে’ না মাকে কি বলেছে;—
“এখনও কি ব্রহ্মময়ি হয় নাই তোর মনের মত?”
“যে হয় পাষাণের মেয়ে তার বুকে কি দয়া থাকে?
দয়াহীন না হলে কি লাথি মারে নাথের বুকে?”
এমন কত কথা!
আবার প্রশ্রয় পাওয়া আদুরে ছেলে অভিমানে ঠোঁট ফুলিয়ে বলে উঠছে;—“নেংটা মেয়ের এত আদর জটে বেটাই ত’ বাড়ালে!”
এ-সব বুকের পাটা কি আর আজকের যুগে তৈরী হয়? এ সাহস বড় সোজা সাহস নয়!
“রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি—
ভার্যাং মনোরমাং দেহি মনোবৃত্ত্যনুসারিণীম্”।
এ প্রকাশ্যে মুখে বাধলেও মনে মনে চার কাল ধরেই বলতে যে কেহই ছাড়বে না, তা’তে কোনই সন্দেহ নাস্তি।
“রোগানশেষানপহংসি তুষ্টা,
রুষ্টা তু কামান্ সকলানভীষ্টান্।
ত্বামাশ্রিতানাং ন বিপন্নরাণাং,
ত্বামাশ্রিতা আশ্রয়তাং প্রয়াক্তি।”