পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২৮
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী

 “** নারীজীবনে সামাজিকতা ও শিক্ষার অভাব। তার ফলে আজ আমাদের দেশে কোনদিকেই নারী কোন চমকপ্রদ সাফল্যলাভ করতে পেরে উঠছে না, যদিও নবজাগরণের ফলে চেষ্টার কিছু ত্রুটি নেই। অন্ধকার পটভূমিকায় দু’একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র বিচ্ছিন্নভাবে উদিত হলেও তারকাসভা কোথায়? একটী বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতে চাহিদা মেটে না, অনেক চাই।”—তবে আমরা বলি, বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত, সুভাষচন্দ্র বসু বা জওহরলাল নেহেরু অনেক হয় না; এবং দরকার হয় না,—সেনাপতি এক’জনই হয়, আজ্ঞানুগ সৈন্যদল তৈয়ারী করাই কঠিন! তার জন্যই চাই সামাজিকতা জ্ঞান এবং তার সর্ববিধ শিক্ষা। আজকের শিক্ষায় মেয়েদের একটু ক্ষুদ্র নিজস্ব সংসার চালাবারই সামর্থ্য জন্মে না, সমাজ চালাতে বা রাজনীতি চালাতে কত সংযম, কত ত্যাগ, কত কঠোরতার শিক্ষা পাওয়া দরকার।—

 লীলা দেবীর “ধ্রুবা” বাংলাসাহিত্যে পূর্বাপর সৃষ্টীকরা কোমল পেলব সুগন্ধি পুষ্পটীর মতই একটি অনবদ্য সুন্দর রূপচিত্র। কিন্তু এ কথা বল্লে অত্যুক্তি হবে না যে, সেটি একটি রূপককাব্যও বটে। তার মধ্যে ব্যক্ত যতটা’ হয়েছে, তার চেয়ে বেশী অব্যক্ত আছে;—যেমন রবীন্দ্রনাথের “চতুরঙ্গে’’র দামিণীতে, শরৎচন্দ্রের “বড়দিদি’’র মাধবীতে, হেমলতা দেবীর এবং লীলা দেবীরও কতকগুলি ছোট ছোট চরিত্রে রবীন্দ্রনাথের রূপক নাট্যের সুরঙ্গমা ও সুদর্শনাতে।

 অন্নপূর্ণা গোস্বামীর কয়েকটী ছোট গল্পে ও উপন্যাসে নারী চরিত্রে অত্যাধুনিকতা দোষ দেখা যায়, অনর্থক নারী চিত্রের কথাটা