খৃষ্টের আড়াই হাজার বছর আগে আসিরিয়া সম্রাজ্ঞী সেমিরাসিস রূপে গুণে বীর্যে এবং পাণ্ডিত্যে অতুলনীয়া ছিলেন। পৃথিবীর দুর্ভাগ্যক্রমে তার অসীম শক্তি এবং অতিমানুষী প্রতিভা বিপথে পরিচালিত হয়ে লক্ষ লক্ষ লোকের দুঃখের কারণ হয়েছিল।
খৃষ্টের প্রায় তেরো শ বছর আগে এসিয়া মাইনরে ইলিয়াম নগরে বহু বিদুষী নারী ছিলেন, তন্মধ্যে রাজা প্রিয়ামের দুহিত। কাসত। ভবিষ্যদ্বক্তীরূপে বিখ্যাত ছিলেন। ট্রোকানেজের পরাজয় এবং ইলিয়াম নগরের পতন সম্বন্ধে তিনি বহু পূর্বেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। গ্রীসদেশে ঐ যুগে নারী পুরোহিত, সন্ত্রান্তবংশীয়া নারী এবং গণিকাদের মধ্যে বিদ্যা এবং কলাচর্চা ভারতবর্ষের মতোই প্রবল ছিল। পেরিক্লিসের প্রিয়তমা অস্পেসিয়া তার উপযুক্ত সঙ্গিনী ছিলেন, তাঁর পাণ্ডিত্য, সৌন্দর্যবোধ এবং একনিষ্ঠ প্রেম পেরিক্লিসের প্রেরণার উৎস ছিল। এথেন্সের চরম গৌরবের দিনে শিল্পে স্থাপত্যে তার চরম উন্নতি ঘটেছিল নারীর প্রভাবে। খৃষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে ‘সাফো নাম্নী এক বিদুষী নিস্ফল প্রণয় নামক একটি কবিতার বই লিখে একটি ছন্দের প্রবর্তন করে বিখ্যাত হন। প্রণয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ইনি পুরুষবিদ্বেষিণী এবং বিপথগামিনী হন। তাঁর কবিতার একটু উদাহরণ দিচ্ছি (প্রথম বয়সে) “মেয়েটি যেন একটি মিষ্টি আপেল, গাছের মগডালের শেষ বোঁটায় পেকে লাল টুকটুক করছে। লোককে ভুলিয়ে নিজেকে পাড়িয়ে তবে ছাড়ল! (পরে) পাহাড়ী রাস্তার ধারে ফুটে আছে—সে যেন একটি পাহাড়ী ফুল, রাখালদের পায়ের