পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সৌন্দর্য্য-তত্ত্ব
১০৩

সলিলা স্রোতস্বিনী প্রস্তররাশি ধৌত করিয়া প্রবাহিত হইতেছে। এই মনোজ্ঞ স্থানে পবিত্রতার প্রতিমূর্ত্তি রূপে বিরাজিত থাকিয়া বেদবতী তপস্যা করিতেছেন। তাঁহার রূপরাশি তপঃপ্রভাবে হোমাগ্নির ন্যায় উজ্জ্বল হইয়া উঠিয়াছে! আত্মীয় স্বজনের স্নেহ, সমস্ত ভোগবাসনা ত্যাগ করিয়া তাঁহার প্রাণ কোন্ সৌন্দর্য্যে মগ্ন রহিয়াছে?

 বেদবতী ধ্যানান্তে জপে প্রবৃত্ত রহিয়াছেন, এমন সময় লঙ্কা-অধিপতি রাবণ ত্রিলোক জয় করিয়া সেখানে উপস্থিত হইল।

 একাকিনী অরক্ষিতা নারীকে সেখানে তপস্যায় রত দেখিয়া রাক্ষস-নাথ রাবণ কহিল,—

 “দেবী, তুমি কে? তোমার এই অলৌকিক রূপ কখনও তপস্যার উপযুক্ত নহে। তুমি আমার মহিষীরই যোগ্যা। আমি দেবতাদিগের অধীশ্বর।”

 বেদবতী কহিলেন— “রাক্ষস, তোমার মঙ্গল হউক, আমি বিষ্ণুকে মনে মনে পতিত্বে বরণ করিয়াছি। এই নির্জ্জন অরণ্যে ভগবানই আমার একমাত্র রক্ষক। তিনিই অবলার বল।”

 রাবণ দেখিল, এইরূপ অসহায়া ক্ষীণাঙ্গী নারীকে