পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতে নারীর উন্নতি

অপসৃত করিল? এই চিন্তা অনেক সূক্ষ্মদর্শী ব্যক্তির হৃদয়ে উদিত হইয়া থাকে।

 নারীজাতির উন্নতির মূলে আমরা তিনটা কারণ দেখিতে পাই। -শিক্ষা, স্ত্রী-স্বাধীনতা এবং শ্রদ্ধা।

 প্রথমতঃ—শিক্ষার অভাবই নারীজাতির অবনতির প্রধান কারণ। শিক্ষা যে সকল উন্নতির মূল ইহা সর্ব্ববাদীসম্মত। নারী সমাজের অর্দ্ধেক অঙ্গস্বরূপ। নারীশক্তি জাগ্রত না হইলে সমাজের পূর্ণ বিকাশ সম্ভবপর নয়। উচ্চ শিক্ষা ভিন্ন নারীশক্তি কেমন করিয়া জাগ্রত হইবে! সমগ্র হিন্দুসমাজে নারীজাতির জ্ঞানোন্নতির পথ অবরুদ্ধ প্রায়! গার্গী, মৈত্রেয়ী, খনা, লীলাবতী প্রভৃতি আর্য নারীগণের এমন সমুজ্জ্বল জ্ঞানপ্রভা কোথা হুইতে উদ্ভূত হইয়াছিল? উচ্চশিক্ষা কি তাহার প্রধান কারণ নয়? যেমন একটী বৃক্ষের অর্দ্ধ অঙ্গ ছেদন করিলে সেই প্রকাণ্ড মহীরূহ শক্তিহীন এবং শীঘ্রই প্রাণহীন হইয়া পড়িবে, তেমনি সমাজের অর্দ্ধ অঙ্গস্বরূপ নারীজাতির শক্তি বিনষ্ট হইলে সমগ্র সমাজ-দেহের বিনাশ অবশ্যম্ভাবী।

 শিক্ষা যেমন নারীজাতির উন্নতির মূল, স্ত্রীস্বাধীনতা তেমনই তাহার প্রাণ। কি শারীরিক, কি মানসিক,