পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
সাহিত্য-চিন্তা

 সুবর্ণযুগের ভারতীয় ইতিহাসের অধ্যায় সকল মনোনিবেশ সহকারে অধ্যয়ন করিলে বুঝিতে পারা যায় যে, আর্য্যজাতি প্রেম ও আশ্চর্য্য সহানুভূতির দ্বারা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সহিত কি প্রকার ঐক্য স্থাপন করিয়াছিলেন। কখনও জাতিবিদ্বেষকে সমাজের অন্তস্তলে প্রবেশ করিতে দেন নাই। পূর্ব্বকালে এখনকার মত জাতিবিদ্বেষ প্রচলিত থাকিলে দাসী-পুত্র বিদুর এবং সূত্রধর-পুত্র কর্ণ সমাজের শীর্ষস্থান অধিকার করিতে পারিতেন না। আমাদের পূর্ব্বপুরুষগণের জাতীয় জীবনগ্রন্থের প্রত্যেক পৃষ্ঠা তাহাদের উদারতা এবং অভেদ নীতির জ্বলন্ত সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে। বানর, ভল্লুক, রাক্ষস, নাগ প্রভৃতি নামধেয় অনার্য্য জাতিদের সঙ্গে তাঁহারা সখ্যতা স্থাপন করিয়া, বৈবাহিক সম্বন্ধে আবদ্ধ হুইয়া, সাম্য মন্ত্রেরই কি মহিমা ঘোষণা করেন নাই?

 উচ্চবর্ণ ও নিম্নবর্ণের মধ্যে পরস্পর নৈকট্য ও সম্মিলনের বাধা,—সংকীর্ণতার বাধা অপসারিত করিয়া দিয়া আর্য্যজাতি সর্ব্বদাই কর্ম্মক্ষেত্রে আপনাদের অপ্রতিহত গতির পরিচয় প্রদান করিতেন। একতা ও সম্প্রসারণ নীতির বলেই তাঁহারা জাতীয় দুর্জ্জয় প্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। তাই ভিন্ন ভিন্ন