পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সমাজ-ব্যাধি ও তাহার প্রতিকার
১৯

পাই? ইহার উন্নতির অনেক দ্বারই কি সযত্নে রুদ্ধ করা হয় নাই? পক্ষান্তরে অবনতির উপায় সকলই অবলম্বন করা হইতেছে। সমাজের বক্ষ হইতে বাহিরে যাওয়ার শত শত পথ উন্মুক্ত রহিয়াছে, কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করিবার পথ একেবারেই বন্ধ। ইহাদ্বারা যে সমাজের শক্তি ক্ষয় হইয়া যাইতেছে এবং তাহার সম্প্রসারণ ক্রমেই হ্রাস পাইতেছে, তাহাতে সন্দেহ কি? এই সকল অন্তরায় দূর না করিলে কিছুতেই সমাজের পূর্ণ বিকাশ সম্ভবপর নয়। সংকীর্ণতার গণ্ডীর মধ্যে থাকিয়া জাতীয় জীবন ধীরে ধীরে জড়ত্ব প্রাপ্ত হয়।

 আজ এই ধ্বংসদশাগ্রস্ত হিন্দু সমাজের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে আমরা প্রথমেই জাতি-বিদ্বেষ এবং অসংখ্য কুসংস্কারের অনিষ্টকারিতা সম্যক্ উপলব্ধি করিতে পারি। কেবলই বাধা,—কেবলই অন্তঃসার শূন্য বিধিব্যবস্থা। এই সকল জটিল বিধিব্যবস্থা ও বাধা সমাজে অন্ধকারেরই সৃষ্টি করিতেছে—অনন্ত উন্নতির গতি রোধ করিয়া দিতেছে।

 উচ্চশ্রেণীস্থ হিন্দুগণ নানা উপায়ে নিম্নশ্রেণীস্থ লোকদিগকে পদানত রাখিতে চেষ্টা করিতেছেন, ইহা কাহারও অবিদিত নাই। বিষম ভেদ বিদ্বেষ এবং জাত্যাভিমান