পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
সাহিত্য-চিন্তা

ছুটিতেছেন। আপনার কক্ষপথে আবর্ত্তন করিতে করিতে ভীমবেগে (সেই ভ্রমণবেগ এক সেকেণ্ডে প্রায় ত্রয়োদশ মাইল) অভিজিৎ নামক মহালোক লক্ষ্য করিয়া ধাবিত হইতেছেন।

 রবিমণ্ডলের ভ্রমণবেগের সহিত আলোকরাশি গ্রহ উপগ্রহে বিকীর্ণ হইয়া পড়িতেছে। প্রতিদিন যে পরিমাণ আলোকরশ্মি অবিশ্রান্ত সৌরজগতে বিতরিত হইতেছে তাহার অতি সামান্য অংশই বহুধাবাস। জীবগণ লাভ করিয়া থাকেন। সূর্য্য কতকাল এই আলোক বিতরণকার্য্যে নিযুক্ত আছেন, আর কত কালই বা থাকিবেন তাহা মানব-বুদ্ধির অতীত।

 নীল, পীত, লোহিত, হরিত, অতি পাটল, বেগুণে, গাঢ় ধূমল এই সপ্তবিধ পরম রমণীয় মূল বর্ণ আলোক রশ্মিতে দৃষ্ট হয়। বর্ণ সমূহের রাসায়নিক সংমিশ্রণজন্য সূর্য্যালোককে বর্ণহীন বলিয়া প্রতীতি জন্মে। রাসায়নিক সংমিশ্রণরূপ মহাবিধানে শুধু আলোক-নিহিত বর্ণসমূহ কেন, অনেক বস্তুই সম্পূর্ণ রূপান্তর হইয়া থাকে। বিশ্বের অনস্ত মঙ্গল উদ্দেশ্যে, বিশ্ববিধাতার আদেশে প্রকৃতি এই কার্যভার (আলোক বিশ্লেষণ, সংমিশ্রণ কখন বা সম্পূর্ণ রূপান্তর করণ) গ্রহণ করিয়াছেন।