পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সূর্য্য-মণ্ডল
৫৩

কোন জ্যোতিষী বলিয়াছেন যে তাহার ব্যাস (৬০০০০) ষাট হাজার মাইলেরও অধিক। কিন্তু সূর্য্যদেহের তারল্য বশতঃ এ সকল গহ্বর অধিক দিন স্থায়ী হইতে দেখা যায় না, দ্রব পদার্থ দ্বারা শীঘ্রই পূর্ণ হইযা যায, আবার নুতন গহ্বরের সৃষ্টি হয়। মার্তণ্ডের মহান অগ্নিময় দেহে সতত এই প্রকার কত গহ্বরের সৃষ্টি ও বিলয় হইতেছে। সূর্য্যদেহে ঝঞ্ঝাবাত আরও আশ্চর্যজনক ও ভীষণ।

 শ্যামসুন্দর ধরা রাজ্য যে বায়ুমণ্ডলে আচ্ছাদিত, তাহা যেন কদম্ব-কেশরের ন্যায়। এই অনিল প্রবাহ ভূমণ্ডলের চারিদিকে ব্যাপ্ত থাকিয়া অবিশ্রান্ত সঞ্চালিত হইতেছে। কখন কখন বা সে বায়ুপ্রবাহে ঝড় উঠিয়া বসুন্ধরাবাসী দিগকে আতঙ্কিত করিয়া থাকে; সেইরূপ এক প্রকার বাষ্পমণ্ডল সূর্য্যের চারিদিক বেষ্টন করিয়া রহিয়াছে। সবিতার নিজ অঙ্গীভূত ধাতব পদার্থ-সকলেরই কিয়দংশ তাহার অসহনীয় উত্তাপে বাষ্পীভূত অবস্থায় মার্তণ্ড অঙ্গের চতুর্দ্দিকে অবস্থান করিতেছে। সেই বাষ্পমণ্ডলও সময় সময় ঝড়ের মত ভীষণবেগে আন্দোলিত হইতে দেখা যায়। তাহাতে সূর্য্যের প্রায় দ্রবীভূত-দেহের কোন কোন অংশ প্রচণ্ড বেগে বহুদূরে উত্থিত হইয়া