পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সার্ব্বভৌমিক প্রেম

প্রাণপণে ভারতের কল্যাণ সাধনে রত, গুপ্তহত্যার পাশবিক কার্য্যদ্বারা আমরা তাঁহাদেরও সহানুভূতি হারাইব। ভারতের বিজয়রত্ন কখনও রক্তাক্ত নহে। সাম্যমৈত্রীর বৈজয়ন্তী গগনে উড্ডীন করিয়া ভারতবাসী জগৎজয় করিয়াছে। যাহারা গুপ্তহত্যারূপ মহাপাপে লিপ্ত, তাহারা দেশের প্রকৃত শত্রু। ভারতের প্রাণস্বরূপ নব্য যুবকগণ কেন এ পাপে লিপ্ত হইবেন।”

 অমরেন্দ্র,—“রাজনৈতিক হত্যাকারীর মঙ্গল কোথায়? যাহাতে দেশমধ্যে এই সমস্ত মহাপাপের স্থান না হয়, সকলেই সে বিষয়ে যত্ন করিবেন, সন্দেহ নাই।”

 কালীনাথ বাবু,—“পাপ ও অপবিত্রতার সঙ্গে সংগ্রামই প্রকৃত বীরত্ব। ইহা নৈতিক নিষ্ঠার একটা দিক্। জাতিবিদ্বেষরূপ ঘোরতর পাপ দেশকে ধ্বংসের পথে লইয়া চলিয়াছে। শত শত কুসংস্কার আবর্জ্জনারূপ পাপকীট সমাজবক্ষে প্রবিষ্ট হইয়া ইহার অস্থিপঞ্জর পর্য্যন্ত বিনাশ করিতেছে। তাহার সহিত সংগ্রামে প্রবৃত্ত হও। বাল্যবিবাহ দেশ হইতে নির্ব্বাসিত কর। জাতি-বিদ্বেষ দূর করিতে দৃঢ়ব্রত হও। যাহারা এ সকল পাপ আবর্জ্জনার সঙ্গে সংগ্রামে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, তাহারাই প্রকৃত বীরপুরুষ।”