পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ክዎኂ; नाङ्ख्लाि-झङ्कारको । প্রকৃতিকে যেন জাগ্ৰত করিয়া তুলিয়াছে, আমাদের অন্তরে সাহস ও বলা বাড়াইয়াছে, আমাদের প্রতিজ্ঞাকে দৃঢ় করিয়াছে এবং আমাদের বিশ্বাসকে উজ্জল করিয়াছে। আমার একজন বন্ধু একদিন আমাকে বলিলেন, রোনানের লিখিত খ্রীষ্টের জীবন-চরিত পাঠ করিয়া তাহার চিত্ত কয়েক মাস যেন আশ্চৰ্য্য ভাবের তরঙ্গে ভাসিতেছিল । যদি কেহ নিজ চরিত্র গঠন করিতে ইচ্ছা করেন, যদি প্ৰতিজ্ঞার বল চান, তবে তিনি জগতের সাধু মহাত্মাদিগের জীবনচরিত মনোযোগপূর্বক পাঠ করুন। প্ৰতিজ্ঞার বলবৃদ্ধির তৃতীয় উপায়টীি ঈশ্বরের উপাসক মাত্রেরই বিদিত । তাহা কেবল আন্তরিক সরল প্রার্থনা । মানাত্মাতে বল ও আশা দিবার এমন দ্বিতীয় উপায় নাই । যাহারা কখনও একান্ত মনে পরমেশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিয়াছেন, তাহারা চিরদিন এক বাক্যে এই কথারই সাক্ষ্য • দিতেছেন। প্রার্থনা দ্বারা মানব অন্তরে কি সুমহৎ পরিবর্তন সংঘটিত হয়, কি আশ্চৰ্য বল ও তেজ অবতীর্ণ হয়, কি অদ্ভুত শক্তি প্ৰকাশ পায়, তাহা বৰ্ণনা করা যায় না। আমরা দেখিয়াছি যে ব্যক্তি তৃণের ন্যায় সামান্য প্রলোভনের বাতাসে কম্পিত হইতেছিল, প্রার্থনার গুণে তাহার অন্তরে যেন বজের বল উপস্থিত হইল। ধৰ্ম্ম জগতে এরূপ ভুরি ভূরি দৃষ্টান্ত দেখিতে পাওয়া যায়। এই জন্যই বলি প্রার্থনাই আত্মার অল্প, পান, প্রার্থনাই ধৰ্ম্ম জীবনের প্রধান সম্বল। ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে আমি অধিক কথা জানি না, এবং শিখি নাই । একটী সত্য শিখিয়াছি এবং সেই সত্যটাই প্ৰাণপণে ধরিয়া আছি। সে সত্যটা। এই, যে বলের দ্বারা মানুষ পাপ তাপ হইতে রক্ষা পায়, সে বল ঈশ্বরের বল। প্রার্থনাই মনুষ্যকে সেই বল দিয়া থাকে।