পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83 রাজনারায়ণ বসু অথবা তাদৃশ অন্যান্য সময়ে মেদিনীপুরের অন্নরাশি ও তা : যে সার্থকতা হইয়াছে, সে সমস্ত কেবল আপনারই উৎসাহ, যত্ন, টষ্ট দ্বারা সম্পাদিত । মেদিনীপুরের সমুদায় শুভকর কার্ঘ্যে আপনি মূল মস্তকস্বরূপ ছিলেন । { আত্ম-চরিত, পৃ. ১২৪-৫ ) । সুরাপান-নিবারণী সভা , উপরের উদ্ধৃতিতে যে সকল সভা-সমিতির নামোল্লেখ অঃ, তন্মধ্যে, সুরাপান-নিবারণ সভা ও জাতীয় গৌরব-সম্পাদনী সভার বিষয় কিঙ্কিং বলা প্রয়েঞ্জন । ইংরেজী শিক্ষার আওতায় পড়িয়া নব্য শিক্ষিতের পাশ্চাত্ত সভ্যতার অঙ্গ জ্ঞানে সুরাপান আরম্ভ করিয়া দেন। ক্রমে ইহ সমগ্র বঙ্গে ছড়াইয়া পড়ে এবং ইহার ফল বিষময় হইয় উঠে । রাধাকান্ত দেব প্রমুখ সমাজহিতৈষিগণ মদ্যপানের কুফল নম্বন্ধে অবস্থিত হইলেও ইহা নিবারণকল্পে সঙ্ঘবদ্ধ চেষ্ট সুরু হয় গত শতাব্দীর ষষ্ঠ দশক হইষ্টত । কলিকাতায় ১৮৬৪ খ্রীষ্টাব্দে প্যারীচরণ সরকার মহাশয় এ উদ্দেশ্যে একটি সমিতি স্থাপন করেন । কিন্তু ইহারও তিন চারি বৎসত্ত্ব পূৰ্ব্বে রাজনারায়ণ বসু মহাশয় মেদিনীপুরে এ জন্য সভা স্থাপন করেন । সভার নামকরণ হয় সুরাপান-নিবারণী সভা । তিনি স্ব-চরিতে (পৃ. ৮৩-৫ ) এ বিষয়ে লিখিয়াছেন । তল্লিখিত "দেবগৃহে দৈনন্দিন লিপি’র অন্তর্ভুক্ত নিয়ের বিবরণটিও এ সম্বন্ধে বিশেষ আলোকপাত করিতেছে ; “২২ ফাল্গুন । ১৮০১ ] পুরাতন হিন্দুকলেজের ছাত্রদিগের মধ্যে পান দোষের প্রাবল্য ও মদ্যপান জন্য সভ্যতাভিমান ও ইংরাজী ১৮৬১ সালে মেদিনীপুরে আমাকত্ত্ব’ক সুরাপান-নিবারণী সভা সংস্থাপন ও তঞ্জক তখাকার মাতাঙ্গদিগের স্বারা আমারু বিলক্ষণ পীড়ন এই সকল বিষয়ে