পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ 38 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্বীকার ক'রে থাকে । নইলে অন্দরের দো খালা পেয়ে একবার “বাইরের আঙিনার লোকর চি হি হি হি হি করে ঢুকে পড়লে আমরা কি আর বঁাচবো ? অতএব এরূপ বিপজ্জনক অতিউদার বাক্য আর কখনো বোলো না ।- ( ‘অনামী’ দ্রষ্টব্য )। ৪ঠা ফাল্গুন, ১৩৩৭ মণ্ট, ই, তোমাদের নতুন কাগজ Orient আমাকে পাঠিয়ে। তোমার লেখা বেরুবে ওটা পড়বার জন্তে আমার সত্যই আগ্রহ হয়। তুমি লিথেচ সাহিত্য ব্যাপারে আমার কাছে তুমি ঋণী,— অন্ততঃ এর সংযম সম্বন্ধে আমার কাছে নাকি অনেক কিছু শিখেচ । ঋণের কথু আমার মনে নেই, কিন্তু এই কথাটা তোমাদের আগেও বলেচি যে কেবল লেখাই শক্ত নয়, না-লেখার শক্তিও কম শক্ত নয় । অর্থাৎ, ভেতরের উচ্ছ্বাস ও আবেগের ঢেউ যেন নিরর্থক ভাসিয়ে নিয়ে না যায় আমি নিজেই যেন পাঠকের সবখানি BBB B SBB BS BBB S BBBBB BBBS BBBB BB BBBBB ভাব রুচি এবং বুদ্ধ দিয়ে পূর্ণ করে তোলবার অবকাশ পায় । তোমার লেখা তাদের ইঙ্গিত করবে, আভাস দেবে, কিন্তু তাদের তল্পি লইলে না । শ্রী-স্তার কি-একটা বইয়ে মরা ছেলের বাপ মায়ের হয়ে পাতার পর পাতা এত কান্নাই কদিলেন যে, পাঠকেরা শুধু চেয়েষ্ট রইলে—কাদবার ফুরসৎ পেলে না । বস্তুতঃ লেখার অসংযম সাহিত্যের মর্যাদা নষ্ট করে দেয়। স্ত-রসিক-বাবু চমৎকার লিখতেই পারেন, কিন্তু চমৎকার না-লিখতে পারেন না । তিনি সত্যই বড় লেখক, কিন্তু না-লেখবার ইঙ্গিতণ যে ঠিক বুঝতে পারেন না, এ কি তার বই পড়তে গিয়ে দেখতে পা ও না ? আর