পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

# l o 览 চারিত্রিক বিশেষত্ব ১২৫ চাহিয়া, বিদ্যাসাগরের অনুরোধে মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ পাচ হাজার টাকা দিয়া কাগজখানি ও ছাপাখানার সমস্ত সরঞ্জাম কিনিয়া সম । শম্ভুচন্দ্র মুখোপাধ্যায় কিছু দিনের জন্য কাগজখানির সম্পাদকতা করিয়াছিলেন। শেষে কালীপ্রসন্ন কাগজ চালাইবার সমুদ্রয় ভার বিদ্যাসাগরের হাতে দেন (ডিসেম্বর ১৮৬১ ) । "এই মাহেন্দ্র যোগে কৃষ্ণদাস পালের উপর বিদ্যাসাগরের দয়া হইল। কৃষ্ণদাসকে ডাকাইয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় হিন্দু পেটুরিয়ট চালাইতে অনুরোধ করিলেন । কৃষ্ণদাস তখন বালক । সুতরাং বিদ্যাসাগর মহাশয় কৃষ্ণদাসের উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস না করিয়া নিজের ইচ্ছাতুরূপ প্রবন্ধাদি র্তাহাকে দিয়া লিখাইয়া লইয়া, হিন্দু পেটুরিয়ট চালাইতে লাগিলেন । কৃষ্ণদাস এইরূপে কিয়দিনের জন্য বিদ্যাসাগরের অধীনে থাকিয়া হিন্দু পেটুরিয়টের সম্পাদকের কার্য্য করেন। এ কথা বিদ্যাসাগর মহাশয় আমাদিগকে অনেক কষ্ট দিয়া শেষে বলিয়া দিয়াছিলেন।--কৃষ্ণদাস বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনুগ্রহে হিন্দু পেটুরিয়টের সম্পাদকতা প্রাপ্ত হন। বিদ্যাসাগবে এই অনুগ্রহ ন হইলে হয়ত কৃষ্ণদাসকে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান সভায় চাকরি করিয়া জীবন শেষ করিতে হইত।” ( রামগোপাল সান্তাল : 'কৃষ্ণদাস পালের জীবনী, পৃ. ২৭-৩০ ) দেখা যাইতেছে, বিদ্যাসাগরের লোক চিনিতে ভুল হয় নাই। সোমপ্রকাশ’ নামক সাপ্তাহিক পত্র বিদ্যাসাগর মা শয়ই প্রথম বাহির করেন ( নবেম্বর ১৮৫৮)। তখনকার দিনে এরূপ উচ্চাঙ্গের সংবাদপত্র ছিল না। যাহা ছিল, তাহাতে রাজনৈতিক বিষয় অথবা ধীরভাবে কোন সামাজিক বা ধর্থনৈতিক বিষয় আলোচিত হইত না। অল্প দিন পরেই তিনি দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণের হন্তে সোমপ্রকাশের