পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

磁や ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর দিকে লইয়া যাওয়া হয়, তবে সত্যই তাঙ্ক, খের কথা।" ( ১১ এপ্রিল ( ১৮৫৫ ) ২০ এপ্রিল ১৮৫৫ স্তারিখে বাংলা সরকার ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইন্‌ষ্ট্রাকৃশনকে এই স্বরে পত্র লিখিলেন,— "ছোট লাট পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্রের মত বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ লোককে ঐরূপ একটা অস্থায়ী পদে নিযুক্ত করিবার বিরোধী। অতি অল্প দিনের কাজে পণ্ডিত কোন কিছু করিয়া উঠিতে পরিবেন বলিয়া মনে হয় না। এরূপ নিয়োগ তাহার চরিত্র ও গু" যোগ্য হইবে না। যে-কোন মুহূর্তে বিদায় করিয়া দেওয়া যাইতে পাxে-এমন অস্থায়ী ব্যবস্থা করিলে পণ্ডিতের প্রতি সরকারের অবিচার হইবে। ছোট লাটের মত এই, পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্ৰ শৰ্ম্মাকে এখনই অনুমোদিত ব্যবস্থা-অনুসারে কাজ করিতে নির্দেশ করা হউক । পণ্ডিতের সহিত পরামর্শ করিয়া, কলিকাতার নিকটবর্তী তিন-চারিটি জেলা কৰ্ম্মক্ষেত্ররূপে বাছিয়া লওয়া হউক। ইহাতে-অন্ততঃ এই সময়টায়—পণ্ডিতের কলেজের কাজে বিশেষ বাধা জন্মিবে না। সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে বেতন ছাড়া, পণ্ডিত এই কাজ করিবার কালে মাসিক দুই শত টাকা এবং যাতায়াতের পথ খরচা পাইবেন ।” ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইনষ্ট্রাকৃশন তখনই বিদ্যাসাগরকে ডাকিয়৷ পাঠাইলেন এবং শিক্ষা সম্বন্ধে তাহার সহিত নানা বিষয়ের পরামর্শ করিলেন। তাহাকে দক্ষিণ-বাংলার বিদ্যালয়সমূহের সহ: ইন্‌স্পেক্টরপদে নিযুক্ত করা হইল : ১ মে ১৮৫৫ হইতে তিনি সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষতার উপর এই কাজে মাসে দুই শত টাকা বেতন পাইতে লাগিলেন। নিযুক্ত হইয়াই তিনি নিজের সাব-ইনস্পেক্টর বাছিয়া • হরিনাথ বন্যোপাধ্যয় মাধবচন্দ্ৰ গোস্বামী, তারাশঙ্কর ভট্টাচার্য এবং বিদ্যাসাগরের ভ্ৰাত দীনবন্ধু স্থায়রত্ন। ইহাদের বেতন ছিল—পঞ্চ-খরচা ছাড়া মাসিক এক শত টাকা।