পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

" ινο ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাঞ্ছনীয় হইবে। একজন ইংরেজের সভাপতিত্বে কমিটির দেশীয় সদস্যেরা এতদিন পর্য্যন্ত বীটম-বিদ্যালয় পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন ; কিন্তু এই ভদ্ৰ মহোদয়েরা বিভাগীয় স্কুল-ইনস্পেক্টরের সহযোগিতায় পরামর্শ-সভার সভ্যরূপে কাজ করিতে রাজী আছেন কি না, ছোট লাট জানিতে চান।” ( ৩ মার্চ ১৮৬৮) বীটন-স্কুল কমিটি এই সৰ্বে বিদ্যালয় পরিচালনা করিতে অস্বীকৃত হইলেন। ব্যয়সংক্ষেপ করা হইবে, কাৰ্য্যকারিতাও বাড়িবে, এইরূপ প্রয়োজনসাধনার্থ সরকার প্রস্তাবিত নর্মাল স্কুল ও বীটন-স্কুল একই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগ করিয়া দিলেন। মাসিক তিন শত টাকা বেতনে তিন বৎসরের জন্য মিসেস ব্রিটশে নামে এক মহিলা বীটন ও নর্মাল স্কুলের স্বপারিনটেণ্ডেণ্ট নিযুক্ত হইলেন। বীটন-স্কুল-কমিটি ভাঙিয়া গেল। ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইন্‌ষ্ট্রাকশন কমিটির সদস্তরে—বিশেষভাবে কমিটির সুদক্ষ সম্পাদক বিদ্যাসাগরকে—তাহাদের অতীত সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ দিলেন । বিদ্যাসাগর এই নৃতন ব্যবস্থা সম্বন্ধে বিশেষ আশা পোষণ করিতেন ন। সত্য, কিন্তু চাহিবামাত্র কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করিতে ক্রটি করিতেন না। ২ মার্চ ১৮৬৯ তারিখে স্কুল-ইনস্পেক্টর উড়ো সাহেব ডিরেক্টরকে * লিখিতেছেন,— “বীটন-স্কুল-সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ২৩এ { ফেব্রুয়ারি ] আমার হাতে দিয়াছেন। তিমি ধূস্থ ক্ষণ ধরিয়া আমার সহিত বিদ্যালয়-গৃহে এবং সংলগ্ন জমিতে বেড়াইলেন এবং ইহা হিন্দু-মহিলাদের থাকিবার পক্ষে উপযোগী করিতে হইলে কি কি দরকার, সে সম্বন্ধে আলোচনা করিলেন ।