পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা নবম খণ্ড.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন
(? ১৮৩১—১৯০৬)
ভূমিকা


পণ্ডিত হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন মূল বাল্মীকি রামায়ণের সর্বপ্রথম অনুবাদক 1 বলিয়া প্রখ্যাত। তিনি সে যুগের একজন প্রসিদ্ধ সংস্কৃতবিদ এবং বাংলা সাহিত্যের একনিষ্ঠ সাধক ছিলেন। পণ্ডিত আনন্দচত্র বদান্তবাগীশ এবং অযোধ্যানাথ পাকড়াশীর মত হেমচন্দ্রের সাহিত্যসাধনা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ তথা আদি ব্রাহ্মসমাজকে কেন্দ্র করিয়া পরিপুষ্ট ও ফলপ্রদ হইয়া উঠিয়াছিল। উক্ত উভয় ব্যক্তির ন্যায় হেমচন্দ্র তাঁহার সংস্কৃতে পাণ্ডিত্য এবং বাংলা সাহিত্যে ব্যুৎপত্তি আদি ব্রাহ্মসমাজের সেবায় পরিপূর্ণরূপে নিয়োজিত করিয়াছিলেন। দেবেন্দ্রমণ্ডলীর মধ্যে তাঁহার স্থান সুনির্দিষ্ট; কিন্তু বিরাট মহীরুহের আশ্রয়ে থাকায় তিনি সাধারণের দৃষ্টি হইতে কতকটা অন্তরালে পড়িয়াছিলেন। আজিও যেন তিনি অন্তরালেই রহিয়া গিয়াছেন। বস্তুতঃ মাত্র অর্ধশতাব্দী পূর্বে পরলোৰুগত হইলেও, হেমচন্দ্রের জীবন-কথা উপযুক্ত মালমশলার অভাবে যেন কতকটা ধোঁয়াটে হইয়া উঠিয়াছে। তথাপি সমসময়ের তত্ববোধিনী পত্রিকা তচিত গ্রন্থসমূহ, ভঁহার আশ্রিত পুজোম ডাঃ শ্রীযুত বনবিহারী মুখোপাধ্যায়ের[১]পত্রে প্রদত্ত তথ্যাদি

  1. *ডাঃ লিখিয়াছেনঃ তিনি [হেমচন্দ্র] ছিলে আমার বন্ধু শেষ্ট গুরু ও