পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* સ્ક তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ‘স্বর্ণলতা’র নাট্য-রূপ সম্বন্ধে অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ‘রঙ্গালয়ে ত্রিশ বৎসর’ পুস্তকে লিখিয়াছেন – “এই সরলা নাটকের অভিনয় নাট্যজগতে একটা যুগান্তর আনে। ইহার পূৰ্ব্বে এরূপ ধরণের সামাজিক নাটক বাংলার কোন রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হয় নাই। সরলার অভিনয় প্রায় এক বৎসর সমান ভাবেই চলিয়াছিল, এবং ষ্টার-সম্প্রদায় এই পুস্তকে প্রভূত অর্থ উপার্জন করিয়াছিলেন।” (পৃ. ১১২ ) “এ পর্য্যস্ত বঙ্গরঙ্গমঞ্চে যত উপন্যাস নাটকাকারে পরিবর্তিত হইয়া অভিনীত হইয়াছে, এক স্বৰ্গীয় তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘স্বর্ণলতা” ভিন্ন কোন উপন্যাসকেই দশকগণ তেমন ভাবে গ্রহণ করেন নাই— যেমন বঙ্কিমচন্দ্রকে আগ্রহের সহিত গ্রহণ করিয়াছেন।” (পূ. ১৪৯) পত্নীবিয়োগ ; মৃত্যু শেষ-জীবনে তারকনাথ স্ত্রীপুত্র-পরিবেষ্টিত হইয়া বক্সারে বাস করিতেছিলেন । এইখানে অবস্থানকালে তাহার স্ত্রী-বিয়োগ হয় । "তারকনাথ ‘স্বর্ণলতা’তে বিধুভূষণের যে চিত্র আঁকিয়াছিলেন সেই চিত্র তাহার গৃহে ফুটিয়া উঠিল । তারকনাথের পত্নী সুন্দরী ছিলেন না বলিয়া তারকনাথ কোনো দিন তাহাকে লইয়া সুখী হইতে পারেন নাই। এবং অধিকাংশ সময়েই র্তাহাকে দেশে রাখিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতেন । বহুদিন পরে বক্সারে তাহদের মিলন হইয়াছিল। কিন্তু অভাগিনী সরলা যেমন বিধুভূষণকে দেখিবার জন্য প্রাণ ধারণ করিয়া ছিল তেমনি তারকনাথের পত্নী অল্পকাল বক্সারে বাস করিবার পর গতিপুত্র পশ্চাতে ফেলিয়া স্বৰ্গারোহণ করিলেন। ইহার পর তারকনাথের পিতৃবিয়োগ হইল। মানসিক অবসাদ দূর