পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতিকথা * > লক্ষ্য করিয়া থাকিতে পারেন । আমি ইংরাজীতে এম এ পাশ করিয়া আবার সংস্কৃতে পরীক্ষা দিবার জন্য প্রস্তুত হইতেছিলাম ; কিন্তু তাহা আর ঘটয় উঠে নাই, ফলে কিন্তু আমার সংস্কৃত সাহিত্যটা পড়া হইয়। গেল ।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে আপনার ধারণ কিরূপ ” তিনি বলিলেন, “রবিবাবু আমার একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু, কাজেই তার সম্বন্ধে আমার কোন মন্তব্য প্রকাশ চলে না। আমি তাকে খুব admire করি ; তিনি ও আমাকে যথেষ্ট ভালবাসেন এবং অামার কবিতারও পক্ষপাতী। আপনি ত জানেনই যে, রবিবাবু তার ‘সোনার তরী’ আমার নামে উৎসর্গ করিয়াছেন । তিনি আমার চেয়ে বছর তিনেকের ছোট হইবেন । বড়ই আনন্দের বিষয় যে, তার পঞ্চাশ বৎসর বয়স হওয়াতে একটা খুব বড় রকমের আনন্দোৎসবের আয়োজন হইতেছে । আমি এই উৎসব উপলক্ষে একটি কবিতা লিখিব মনে করিতেছি ।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “তাহার বিরুদ্ধে দুনীতির অপবাদ সম্বন্ধে আপনার কি মত ?” তিনি বলিলেন, “এ আপবাদ সম্পূর্ণ অন্যায় ও অসঙ্গত এবং র্যাহার তীব্রভাবে ইহার প্রতিবাদ করিতেছেন, তাহাদের সহিত আমার সম্পূর্ণ সহানুভূতি আছে।”. আমি উঠিবার উপক্রম করিতেছি, এমন সময় দাসী একটি দেড় কি দুই বৎসরের মেয়েকে কোলে করিয়া সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইল । তাহাকে দেখিয়া দেবেন্দ্রবাবু আমাকে বলিলেন, “আপনি আমার ‘দুহিতামঙ্গল-শঙ্খ পড়িয়াছেন ? আমার এই ছোট মেয়েটির জন্মের সময়ই